ছবি: সংগৃহীত
বর্ষায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ, টাইফয়েড, সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য মৌসুমি রোগে ভুগতে থাকে শিশুরা। হাসপাতালে ভর্তির হারও বেড়ে যায়। এর মধ্যে এবার ব্যাপকভাবে যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও আতঙ্ক। তাই এ সময় মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
জ্বর হলে করণীয়
অতিরিক্ত জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যাবে এবং পুরো শরীর মুছে দিতে হবে। আইবুপ্রফেন কিংবা এসপিরিনজাতীয় ওষুধ নিজে দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। ভাইরাসজনিত জ্বরের মাত্রা অতিরিক্ত হতে পারে এবং তিন থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা শুরু হয়েছে এবং শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে।
ডেঙ্গু জ্বরের ব্যাপারে যা খেয়াল রাখা জরুরি
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে মারাত্মক ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা মারাত্মক ডেঙ্গুর ক্রিটিক্যাল সময় চলতে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সময় প্রলম্বিত হয় এবং অনেক ডেঙ্গু রোগী জ্বর থাকা অবস্থায়ও ক্রিটিক্যাল অবস্থায় যেতে পারে।
ডেঙ্গু ভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য শরীরে যে প্রক্রিয়া চলে, তার প্রভাব হিসেবে রক্তে সাইটোকাইনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এসব জটিলতা তৈরি হয়। এ সময় রক্তের জলীয় অংশ রক্তনালি থেকে বের হয়ে যায়, ব্লাড প্রেশার কমে যায়, বুকে ও পেটে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
রক্তের অণুচক্রিকা কমে যাওয়া এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ার কাজ ব্যাহত হওয়ায় রক্তক্ষরণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এ সময় জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সতর্কতা হিসেবে বাসায় এবং এর আশপাশে তিনদিনের বেশি কোথাও পানি জমে আছে কী না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসি ও ফ্রিজের ট্রেতে পানি জমে আছে কী না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রাতে ঘুমানোর সময় এবং দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হবে ঘুমানোর সময়। শিশুদের এ সময় সুতি কাপড়ের পায়জামা ও ফুলহাতা জামা পরানো ভালো।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন