শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতি নয়, সিট দখল কালচার বন্ধ করা উচিত : ফখরুল

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১০ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি নয়, সিট দখল কালচার বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২১শে সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা ভালো হয়নি। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান হতে পারে না। এসব সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করে সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতি না থাকলে দেশে রাজনীতি টিকে থাকবে না।’

ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হয়। ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের একেবারে বিরোধিতা করি। হলে সিট দখল বন্ধ করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা দায়িত্বেই থেকে গেছে। পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের পর বর্তমান সরকারের যে ল্যাকিং তা হলো সরকারে রাজনৈতিক মুখ নেই। নিঃসন্দেহে কিছু পলিটিক্যাল গ্যাপ তৈরি হতে পারে।’

বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যতটুকু কাজ হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করি। মূল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের বসতে হবে। কথা বলতে হবে। মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন দেখতে চায় তা কথা বলে জানতে হবে। রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ত করতে হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের দুটি জেলায় যে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ইউনিভার্সিটিতে যেটা ঘটেছে সেটাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এখানে বিরাজনীতিকরণের আভাস আছে। শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করছে, সে কারণে এখানে আরও উসকানি আছে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের অভিজ্ঞতার সংকট এখানে একটা কারণ।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘যৌক্তিক সময় বলতে যত দেরি হবে ততই সমাজ ও দেশের ক্ষতি হবে। রাজনৈতিক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। গণহত্যার সহকারীদের রেখে কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। ঘাড়ে ধাক্কা না দিলে দেশে কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি।’

রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ছয়টি কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছয় কমিশন সংস্কারের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া উচিত। তারা যেটা করছেন সেটা সফল হোক আমরাও চাই, কিন্তু ব্যর্থ হবারও সুযোগ থেকে যাবে।’

সংবিধান পরিবর্তনের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তনের আগে মানুষের মতামত নিয়ে তারপর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আইনগত দিক দেখতে হবে। নির্বাচনের পর সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নিলে তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথা বললে বেশি যৌক্তিক হতো।’

ওআ/কেবি

মির্জা ফখরুল

খবরটি শেয়ার করুন