শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া ও কসবায় পানি কমতে শুরু করেছে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারী বর্ষণ না হওয়ায় শনিবার (২৪শে আগস্ট) আখাউড়া-কসবার বিভিন্ন গ্রামের অনেকাংশে বন্যার পানি কমে গেছে। বন্যা কবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো। শুক্রবার (২৩শে আগস্ট) সকাল থেকেই সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যের দেখা মিলছে। তবে এখনও পানিবন্দি আছেন ৩ শতাধিক মানুষ। 

হাওড়া নদীর পানি হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়েছে। এতে আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে কসবায় সলদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।

অন্যদিকে কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, কসবায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে এক থেকে দেড় ফুট পানি কমে গেছে। তারপরেও কিছু এলাকায় বন্যার পানি রয়েছে। কসবায় শনিবার মোট ১৩ শত ৬৮ পরিবারকে ৭ মেট্রিক টন চাল, ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা-নোয়াখালীতে সচল হচ্ছে মোবাইল টাওয়ার

তথ্য মতে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে রাজ্যের আগরতলার বুক চিরে হাওড়া নদীর পানি আখাউড়ায় প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে একই কসবা সীমান্তবর্তী সালদা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এতে আখাউড়া-কসবা দুটি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। আখাউড়ায় ৪৭টি গ্রামের ১৬৯৭ পরিবারের ৪৯ হাজার ২০৯ জন ও কসবায় ২৬টি গ্রামের ২ হাজার ৩৫০টি পরিবার পানিতে নিমজ্জিত হয়।

আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন বলেন, উপজেলাটিতে পানি কমে আসছে। গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ শনিবার আরও ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি আক্রান্তদের অনেককেই আমরা রিকভারি করতে পেরেছি। যেখানে প্রথম অবস্থায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল সেটি কমে গিয়ে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

এসি/ আই.কে.জে/

আখাউড়া-কসবায়

খবরটি শেয়ার করুন