ছবি: সংগৃহীত
সেক্সের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির সমস্যায় অনেকে ভোগেন। অনেক সময় এ আসক্তি ডেকে আনে গুরুতর শারীরিক রোগ। আবার অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গভীর অবসাদে ভোগেন অনেকে। জানেন কী, এটা গুরুতর মানসিক সমস্যা? আনন্দবাজার পত্রিকার খবর থেকে আসুন জেনে নিই, ঠিক কী কী কারণে সেক্সের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি অনুভব করেন অনেকে।
১। বাইপোলার ডিজঅর্ডার: এ মানসিক সমস্যায় ভুগলে সেক্সের প্রতি অসক্তি বাড়ে। বাইপালোর ডিজঅর্ডার থাকলে একজন মানুষের মধ্যে দুটি চরিত্র বাস করে। এ সমস্যায় যখন কেউ নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় পৌঁছে যান, তখন ঝুঁকিপূর্ণ সেক্সে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
২। বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার: যারা এ সমস্যায় আক্রান্ত হন, তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। ফলে অনেক সময় সেক্স আসক্তির শিকার হয়ে পড়েন তারা।
৩। শারীরিক নির্যাতনের শিকার: অনেক সময় ছোটবেলায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে যৌনতার প্রতি ভয় জন্মায়। বড় হয়ে সেই ট্রমা কাটাতে অনেকে সেক্সে আসক্ত হতে চান। যাতে কোনোভাবে সেই ট্রমা তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
৪। অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম: এ সমস্যায় বুদ্ধির বিকাশ হয় দেরিতে। কিন্তু বয়ঃসন্ধি থেকে স্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয় শরীরে। নিজেদের অজান্তে তাই তারা সেক্স আসক্তিতে ভুগতে থাকেন। সেক্স নিয়ে তৈরি হয় অদ্ভুত ধারণা।
৫। স্বচ্ছতার অভাব: অনেক সময় নিজের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না। অনেকে নিজের অজান্তে বাইসেক্সুয়াল বা সমকামী হন। নিজের সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ঠিক কীভাবে তৃপ্তি পাবেন, বুঝতে না পেরে বিভিন্ন রকম সেক্স আসক্তির শিকার হন তারা।
ডেকান ক্রনিকলের প্রতিবেদন মতে, ২০১২ সালের এক গবেষণায় ‘হাইপার সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার’ কিংবা যৌনতায় আসক্তিকে প্রথমবারের মতো সংজ্ঞায়িত করে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ)।
তাদের মতে, কাউকে ‘আসক্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, যদি এসব (যৌন) কল্পনা কারো ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে ভীষণভাবে প্রভাব রাখে এবং সেটা যদি ড্রাগ, অ্যালকোহল কিংবা অন্য কোনো মানসিক সমস্যার জন্য না ঘটে থাকে।
তবে আমেরিকার অ্যাসোসিয়েশন অব সেক্সুয়ালিটি এডুকেটরস, কাউন্সিলরস অ্যান্ড থেরাপিস্টদের সংগঠন (এএএসইসিটি) মনে করছে, ২০১২ সালের সেই গবেষণা নাকি স্রেফ ফালতু কথার ঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের মতে, যৌন আসক্তি বলে কিছু নেই।
খবরটি শেয়ার করুন