শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা *** কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাউ করতে পারি না : আসিফ নজরুল *** হয়রানিমূলক মামলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** দুই দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম *** অভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন বিনামূল্যে চিকিৎসা, দেওয়া হবে আইডি কার্ড *** কেউ যেন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন : তারেক রহমান *** হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ৩০শে নভেম্বরের মধ্যেই *** বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধের নির্দেশ *** চট্টগ্রামে এইচএসসিতে ফেল থেকে পাস ১০১, জিপিএ-৫ পেলেন ৬১ জন *** আলিমে ফেল থেকে পাস ১০, জিপিএ-৫ পেলেন ৬ জন

জামিন পেলেন মা হারা সেই চার শিশুর বাবা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৮ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার চার সন্তানের বাবা দিনমজুর জামাল মিয়া জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফিরোজ মামুন এ জামিন দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর থানা আমলি আদালত) জিআরও এএসএআই লাভলী।

দিনমজুর জামাল মিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন গোপালগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শারমিন জাহান।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ই নভেম্বর) ‘মা নেই, বাবা জেলে- তিন বোন নিয়ে বিপাকে সাজ্জাদ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এক মাস আগে যমজ সন্তান জন্মের পর মারা যান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জামাল মিয়ার ১৩ বছরের ছেলে সাজ্জাদ মিয়ার মা সাথী বেগম। মায়ের মৃত্যুর পর তাদের বাবা জামাল মিয়া তার ৪ সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে দেখাশোনা করতেন। তবে হত্যা মামলায় দিনমজুর জামাল মিয়াকে গ্রেফতার  করে জেলে পাঠায় পুলিশ। ফলে তিন বোনকে নিয়ে দিশাহারা সাজ্জাদ। অভিভাবক না থাকায় পড়ালেখাও বন্ধ হতে চলেছে সাজ্জাদ ও তার বোনের।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম একসঙ্গে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তার সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর চার সন্তানের লালনপালন করছিলেন জামাল মিয়া। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

সাজ্জাদ গণমাধ্যমকে বলেন, কদিন পরই বার্ষিক পরীক্ষা। এখনই আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট বোনদের কেমনে যত্ন নেবো। রান্নাও তো করতে পারি না।

তার চাচা মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নয়। একসময় আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়েছে জানা নেই।

কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন জামাল মিয়া। সে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা দিদার হত্যা ঘটনায় জড়িত। সেজন্য তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।

ওআ/কেবি

গোপালগঞ্জ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন