সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অনুমতি পেলে দেশেই তৈরি হবে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন’

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলেন, আগামী মার্চ মাস নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে। এর দামও হবে অনেক কম। যত বেশি নগরায়ন বাড়বে ডেঙ্গুও তত বাড়বে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে অন্যতম প্রধান বাধা। কেবল উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা মশক নিধনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টার কমতি থাকবে না। মশক নিধনের সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের সবাইকে নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি করা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এই কমিটি কাজ শুরু করবে। এরপর থেকে বিটিআই সরাসরি ডিএনসিসি আমদানি করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিড এনেছে। অনুমতি পেলে অচিরেই ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে। এসব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উত্তর সিটি এক সঙ্গে কাজ করছে। অনেক কাজ করার পরও ডেঙ্গুর ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। অসফলের কারণ বের করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩ লাখ ২২ হাজার টাকায় দেশে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, একসময় দেশে কালাজ্বর ছিল। সেটা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে কাজের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য থাকার দরকার ছিল। আমাদের কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার অভাব আছে। প্রশিক্ষিত লোকের অভাব আছে, তাই এখন থেকেই কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার প্রশিক্ষণ দিয়ে কীটতত্ত্ববিদ বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে টেকনিক্যাল কমিটি করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ডেঙ্গু জরিপ করতে হবে। ল্যাবের সংখ্যাও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিমানবন্দর প্রতিনিধি, মেট্রোরেল প্রতিনিধি, আইআইডিসিআর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

এসকে/ 

ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ডিএনসিসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

খবরটি শেয়ার করুন