বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ইরান, পরমাণু কর্মসূচি চলবে: পেজেশকিয়ান *** নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে সবাই: আলী রীয়াজ *** পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ *** মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব: গণমাধ্যম তদন্ত করলে সহযোগিতা করবে আইএসপিআর *** এশিয়ার সেরা নির্মাতার পুরস্কার পাচ্ছেন ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি *** স্বেচ্ছায় পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা *** গাজায় যুদ্ধাপরাধ, দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বেলজিয়াম *** আজ ১০টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা *** এইচএসসির স্থগিত ২২শে ও ২৪শে জুলাইয়ের পরীক্ষা একই দিনে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পদে ১৭,৩০০ কর্মী নিয়োগ দেবে এমিরেটস

প্রতিদিন আম খাওয়া কী স্বাস্থ্যকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৪ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন আম খাওয়া কী শরীরের জন্য ভালো? ডায়াবেটিস বা ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকা মানুষদের জন্য এটি কী ক্ষতিকর? পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আম বেশ পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। তবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতি থাকা উচিত। কেবল স্বাদে নয়, আম গুণেও রাজা। একটি মাঝারি আকারের আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও এ। এই দুটি ভিটামিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তথ্যসূত্র গাল্ফ নিউজের।

দুবাইয়ের পুষ্টিবিদ লিনা দোমানি বলেন, ‘এই দুই ভিটামিন শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে ত্বক উজ্জ্বল রাখে। এ ছাড়া এগুলো রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’ এ ছাড়া আমে থাকে পলিফেনল। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আমের আঁশ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতি কাপ কাটা আমে রয়েছে প্রায় ২ দশমিক ৬ গ্রাম আঁশ। এ ছাড়া এতে রয়েছে লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন। এ দুটি উপাদান চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং বয়সজনিত চক্ষু সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

আমের স্বাদ যতই মধুর হোক, এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। একটি মাঝারি আকারের আমে থাকে গড়ে ৪৫ গ্রাম চিনি। অন্যদিকে এক কাপ কাটা আমে থাকে ২২ গ্রাম। ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস থাকলে চিনির এই মাত্রা চিন্তার কারণ হতে পারে।

লিনা দোমানির পরামর্শ, ‘আম খাওয়ার সময় সঙ্গে প্রোটিন বা চর্বি জাতীয় খাবার, যেমন বাদাম, চিজ বা গ্রিক দই খেলে রক্তে চিনির হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।’ এর ফলে শরীরে ইনসুলিনের প্রভাবও সুষম থাকে।

অনেকে ভাবেন, আম খেলেই ওজন বাড়বে। এটা একদম ভুল ধারনা। আম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, এমনকি পেটের ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্যকারী পেকটিন ও আঁশ রয়েছে।

তবে দুবাইয়ের ডায়েট কোচ দিপ্তি পালিজার পরামর্শ দিয়েছেন, যেদিন আম খাবেন, সেদিন অন্য ফল বা চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। তাতে দৈনিক চিনি গ্রহণের সীমা ঠিক থাকবে। এতে ওজন বা হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

সবার শরীর এক রকম নয়। যাদের ফ্রুকটোজ ম্যালঅ্যাবজর্পশন রয়েছে তাদের জন্য আম হতে পারে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার কারণ।

এমন মানুষের জন্য পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, প্রথমে ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম আম খেয়ে শরীরের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন। প্রয়োজনে রান্না করে, যেমন আমের চাটনি বা সেদ্ধ আম খাওয়াই নিরাপদ। এ ছাড়া যাদের কাজু, পেস্তা বা ল্যাটেক্স অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের জন্য আমের চামড়া বা রস থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদের ক্ষেত্রে আম ভালোভাবে ধুয়ে, চামড়া ছাড়িয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আম স্বাস্থ্যের শত্রু নয়। শত্রু হলো এটি অতিরিক্ত ও ভুল সময়ে খাওয়া। প্রতিদিন একটি মাঝারি আকারের আম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, যদি সেটি সুষম খাদ্যতালিকার অংশ হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের নাশতার পরে বা দুপুরের খাবারের কিছুক্ষণ পর আম খাওয়া ভালো। খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে আম খাবেন না।

জে.এস/

আম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন