মঙ্গলবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আপিল শুনানি ৯ জুলাই

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৯ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (৩রা জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে তারেক মাসুদের পরিবারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের করা আপিলের শুনানি ৭ বছর পর শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ ওই মামলায় রায় দেন। এতে তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছিল। পরে বাস মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণ স্থগিত চেয়ে একটি লিভ টু আপিল করলে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। নিম্ন আদালত থেকে মামলা দুটি স্থানান্তরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে ওই আবেদন দুটি করা হয়। তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ এবং মিশুক মনিরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও তাদের ছেলে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে ওই দুটি আবেদন করেন। যার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন।

রুলে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি কেন উচ্চ আদালতে বদলি করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মামলা দুটির নথি তলব করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলা ও মোটর ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে করা মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি। 

কেবি/ আই.কে.জে/

তারেক মাসুদ

খবরটি শেয়ার করুন