সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরিমানা নির্ভর বাজার অভিযান বন্ধের তাগিদ টিপু মুনশির

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৯ অপরাহ্ন, ১৮ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ক্রেতাদের জন্য বাজারকে সহনীয় করতে যখন নানা প্রচেষ্টায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সরকারি বিভিন্ন তদারকি সংস্থা; তখন জরিমানা নির্ভর বাজার অভিযান থেকে সরে আসার তাগিদ দিচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। না হলে মিলবে না দীর্ঘমেয়াদী সুফল। এদিকে, জরিমানা বা ব্যবসা বন্ধ যাই করা হোক না কেন তা যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়, সেই পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

মূল্যস্ফীতির কারণে বছর ব্যবধানে এমনিতেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। নানা উপায়ে সেই বৃদ্ধিকে আবার অযৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যায় একদল অসৎ ব্যবসায়ী। দিনশেষ যার মাশুল গুণতে হয় ভোক্তাকে আর বাজার হয়ে ওঠে অস্থির-অসহনীয়।

বেগতিক এই অবস্থা সামাল দিতে বছরজুড়েই মাঠে থাকেন সরকারের বিভিন্ন তদারকি সংস্থা এবং তার কর্মকর্তারা। যাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার জরিমানা আদায়। যেমন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার তদারকিতে গিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে জরিমানা আদায় করেছে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। পরের বছর যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়। আর চলতি অর্থবছরে প্রথম সাড়ে ৭ মাসেই সংস্থাটি আদায় করেছে ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

একইভাবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেমে ২১শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২২ দিনে দেশব্যাপী ৩ হাজার ৩৭০টি অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অভিযানেও বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখা যায় জরিমানা আদায়কে।

 জরিমানা দেয়া এসব টাকা ব্যবসায়ীরা কীভাবে পুষিয়ে নেন তা নিয়ে নানান যুক্তিতর্ক থাকলেও নেই পরিষ্কার জবাব। ব্যবসায়ীরা জানান, জরিমানা দেয়া অর্থ জমা হয় লোকসানের খাতায়।

 আরো পড়ুন: আমদানির খবরে অবশেষে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ

এমন অবস্থার মধ্যেই জরিমানামূলক বাজার তদারকি দীর্ঘমেয়াদে কোনো সুফল দিবে না বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন,বাজার নিয়ন্ত্রণে জরিমানাই শেষ কথা নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

এদিকে, বছরের পর বছর ধরে জরিমানা আদায় করেও যখন নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার, তখন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা জরিমানার পরিমাণ বড় না হলে, হবে না কাজের কাজ।

 অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি করতে হবে বড় অঙ্কের জরিমানা। এটি করা সম্ভব হলে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবেন এবং ধীরে ধীরে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এসি/ আই. কে. জে/ 


জরিমানা টিপু মুনশি

খবরটি শেয়ার করুন