ছবি: সংগৃহীত
প্রচণ্ড এ গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছোট-বড় অনেকেই এখন ভাইরাস জ্বরে ভুগছেন। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে- হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া। এ সময় গরমের কারণে শরীরে হালকা র্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে, মানে ছোট ফুসকুড়ি মতন যা চুলকাতে পারে। খবর বিবিসির।
এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, শীত শীত অনুভূত হওয়া ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এসবই ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ। শিশুদের অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনো কখনো খিঁচুনি হতে পারে।
জ্বরের পাশাপাশি এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে রোগীকে। ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়। আর শিশুদের জ্বর হলে অবশ্যই বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মূলত জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং এটি অন্য রোগের লক্ষণ। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদির দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর জ্বর হলে অনেক নিয়ম মানা হয়, যা পুরোপুরি ঠিক নয়।
তবে জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে স্পঞ্জিং করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুরো শরীর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় বা তোয়ালের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে, সেই সঙ্গে কিছুটা আরামবোধ করবে।
অপরদিকে জ্বরের মাত্রা বাড়লে মাথায় পানি ঢালতে হবে। রোগীকে বেশ কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাসের নিচে রাখতে হবে। এ ছাড়া জ্বর ও ব্যথা কমাতে মাত্রা অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ/ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। তবে জ্বরের মাত্রা ১০৩ ডিগ্রিতে পৌঁছালে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ সময় রোগীকে প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন, বিভিন্ন ফলের রস, লেবু ও বেলের শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। অন্যান্য খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চালানোর পাশাপাশি তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি দিতে হবে। এ ছাড়া টকজাতীয় ফলের মধ্যে জাম্বুরা, আমড়া, কমলা, লেবু ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম এ সময় খুবই প্রয়োজন। কেননা, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে সক্রিয় রাখতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা রাতের ঘুম প্রয়োজন। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী দিনেও বিশ্রাম নিতে হবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে জ্বর তিন দিনের মধ্যে না সারলে ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ সময় শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানা ও ত্বকে ফুসকুড়ির জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এমনকি প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন