ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকা ও চীন বাণিজ্যচুক্তিতে সই করেছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ চুক্তি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর আল–জাজিরার।
গত বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন) রাতে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগেই চীনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি।’ তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এ ছাড়া আমেরিকার বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে বলেন, চুক্তিটি দুই দিন আগেই সই করা হয়েছে, যদিও তিনি নিজেও চুক্তির বিস্তারিত কিছু জানাননি।
গতকাল শুক্রবার (২৭শে জুন) চীন আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, যেসব পণ্য রপ্তানিতে নানা ধরনের নিয়ন্ত্রণ ছিল, সেগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী অনুমোদন দেওয়া হবে। তারা অবশ্য বিরল খনিজ নিয়ে কিছু বলেনি।
এদিকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকা সরকার ও চীন ‘জেনেভা চুক্তি’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অতিরিক্ত সমঝোতায় পৌঁছেছে। গত মাসে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বাণিজ্যযুদ্ধের বিরতি নিয়ে চীন ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা হয়, তিনি মূলত সেই প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন। সেখানে দুই দেশ সাময়িক বাণিজ্যযুদ্ধ–বিরতিতে সম্মত হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মূলত চীন থেকে আমেরিকায় দ্রুত বিরল খনিজ রপ্তানি দ্রুত পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া নিয়েই এ সমঝোতা। চুক্তিটি জেনেভা চুক্তির ধারাবাহিকতা। জেনেভায় উভয় পক্ষই একমত হয়েছিল, পরস্পরের পণ্যে আরোপিত শুল্ক ও পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হবে। লক্ষ্য ছিল দ্রুতই বৃহৎ বাণিজ্যচুক্তিতে পৌঁছানো। পরে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় চূড়ান্ত চুক্তির কাঠামো নির্ধারিত হয় এবং ট্রাম্প যে চুক্তির কথা বলেছেন, সেটি সম্ভবত সেই কাঠামোর আনুষ্ঠানিক রূপ।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর সম্প্রতি উভয় পক্ষের সম্মতিতে কাঠামোর বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়েছে। আইনি শর্ত পূরণ করে যেসব আবেদন করা হবে, চীন তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে বলেও জানান তিনি।
আরএইচ/
ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তি চীন-আমেরিকা চীন ও আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি
খবরটি শেয়ার করুন