শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্যাকেটজাত খাবারে উচ্চমাত্রার লবণ : স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দেশের কোটি মানুষ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৭ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত ৬২ শতাংশ খাদ্যে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে লবণ আছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দেশের সব বিভাগের ১২০টি দোকান থেকে ১৬ ধরনের খাদ্যের পাঁচটি করে নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনার মধ্যে কী পরিমাণ লবণ আছে, তা পরীক্ষাগারে পরিমাপ করা হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ পাওয়া গেছে চানাচুর ও বিস্কুটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৫ গ্রাম লবণ প্রয়োজন। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করছে ৯ গ্রামের বেশি লবণ। বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ, খাদ্যের অতিরিক্ত লবণ উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি বিকলসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাদ্য গ্রহণে প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ মারা যায়। কাজেই দেশে প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত অধিকাংশ খাদ্যে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে লবণ থাকার বিষয়টি চিন্তার বিষয় বৈকি! সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এদিকে দৃষ্টি দেওয়া।

দেখা যায়, বাজারে বিক্রির জন্য রাখা খাবারের প্যাকেটগুলোর লেবেলে লবণসহ খাদ্যপণ্যের উপাদানের সঠিক মাত্রা দেওয়া থাকে না। অনেক সময় এসব তথ্য লুকিয়ে খাদ্য বাজারজাত করা হয়। এটি ভোক্তার সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। তাই এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

আরো পড়ুন: মিষ্টি কাঁঠাল চিনবেন যেভাবে

প্রতিটি খাবারের প্যাকেটে উপাদানের সঠিক মাত্রা উল্লেখ থাকতে হবে এবং তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। প্যাকেটজাত খাবারে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা যাবে, সরকারকে তা নির্ধারণ করে দিতে হবে। সরকারের সেই নির্দেশনা ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, বিষয়টি নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, লবণ কম খাওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন প্রচারণা কর্মসূচির মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ক্ষতিকর দিকগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

এসি/

লবণ

খবরটি শেয়ার করুন