বুধবার, ১৭ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১লা শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি, পৌঁছাবে মানবিক সহায়তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫১ অপরাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এই সময় গাজার সঙ্গে মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে। গাজায় থাকা বিদেশিরা বের হতে পারবেন এবং গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো যাবে।

এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টেও এমন তথ্য জানিয়েছে স্পেক্টেটর ইনডেক্স।

ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রতিনিধি কামেল খতিবের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ রিপোর্ট করেছে, গাজা থেকে মিশরে রাফাহ বর্ডার ক্রসিং সোমবার সকাল ৯টায় খোলা হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো ইসরায়েল অবরোধ শিথিল করতে সম্মত হয়েছে। এর আগে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান যে, ক্রসিংটি খোলা হবে, তবে তিনি নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি।

আগে থেকেই মিশরের রাফাহ সীমান্তে গাজার জন্য সাহায্য নিয়ে যাওয়া শত শত গাড়ি অপেক্ষা করছে। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের কারণে সেগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাফাহ ক্রসিং (ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া গাজায় প্রবেশের একমাত্র সীমান্ত) গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে, জর্ডান, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে গাজার জন্য সাহায্যের বিশাল চালান মিশরের এল আরিশ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মিশর নিজেই ১০০ টন ত্রাণ বহনকারী ১০০টি পরিবহন ট্রাকের কনভয় পাঠিয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশের জন্য মোট তিনটি ক্রসিং পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে দুটি সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি একটি হলো রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। যা সরাসরি মিশরের সঙ্গে সংযুক্ত।

হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। এর ফলে প্রায় ২২ লাখ জনসংখ্যার গাজা তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তীব্র মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ২৪৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় এসব ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরায়েলের হামলায় আরও ৯,২০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ৭২৪ শিশুসহ নিহতদের মধ্যে শত শত নারী রয়েছে।

চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।

এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইসরায়েলি।

ওআ/

গাজা

খবরটি শেয়ার করুন