সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাফে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩

প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লেবানন

স্পোর্টস ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৪ অপরাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

সাফের জন্য প্রাথমিক দলের ৩৫ ফুটবলারের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। এবার কারা খেলবেন, সেই ফুটবলযোদ্ধাদের বাছাই করার কাজ শুরু করবেন জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। গতকাল দুপুরে সাফের ড্র হয়েছে ভারতের দিল্লিতে। আট দল নিয়ে সাফের লড়াইয়ে বাংলাদেশ কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। সাফের পরিচিত দল মালদ্বীপ ভুটানের সঙ্গে এবার নতুন দল যোগ হয়েছে শক্তিশালী লেবানন। খুব কঠিন বাংলাদেশের জন্য। এমনিতেই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় নিচ্ছে। তার ওপর কুয়েত এবং লেবানান অতিথি দল হয়ে সাফে যোগ দেওয়ায় বাংলাদেশের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা আরো কমে গেল।

অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া কিংবা তপু বর্মনরা অবশ্য পজিটিভ তারা মনে করছেন সাফের লড়াইয়ের মর্যাদা বাড়ানোর জন্যই কুয়েত এবং লেবাননকে আনা হয়েছে ঠিকই তার মানে এই নয় যে তারাই শিরোপা নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা আশা-ভরসা রাখতে চান। যেমনটি রাখতে চান কোচ হ্যাবিয়ের কাবরেরা।

সাফের ড্র হওয়ার পর গ্রুপিং দেখেছেন কাবরেরা। বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এই কোচ জানিয়েছেন চ্যালেঞ্জিং।’ একদিকে চ্যালেঞ্জিং বললেও অন্য দিকে আশার বাণীও শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। বলেছেন তিনি সেমিফাইনালে চোখ রাখতে চান।

ফিফার র্যাংকিংয়ের যে দেশগুলো বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তার সব কয়টি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে উপরে অবস্থান করছে। লেবানান ৯৯ নম্বরে, ভুটান ১৮৫ নম্বরে, মালদ্বীপ ১৫৮ নম্বরে আর বাংলাদেশের স্থান ১৯২ নম্বরে।
এসব হিসাব ফুটবল মাঠে হয় না। তবে মাঠে অনেক সময় চিত্র বদলে যায়। গত সাফে বাংলাদেশের হারিয়েছিল মালদ্বীপকে। লেবাননকেও হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। লেবানন অপরিচিত কোনো দল নয়। ২০১১ সালে  ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ-লেবানন। ঢাকার ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে লেবাননকে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচের গোলদাতা ছিলেন দুই বন্ধু মিঠুন চৌধুরী এবং জাহিদ হাসান এমিলি। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছিল লেবানানের বৈরুতে গিয়ে। সেখানে যেতে বহু চড়াই-উতরাইয়ের পর ম্যাচ খেলে ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এসব হিসাবে লেবানন অচেনা না হলেও তারা এখন অনেক ওপরে। বাংলাদেশ আরো পিছিয়েছে। ২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ ট্রফি জয়ি বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ফাইনাল খেলেছিল। এরপর কাজী নাবিলদের হাতে পড়ে জাতীয় দল ফাইনাল খেলা তো দূরের কথা বাংলাদেশ ফুটবল দল সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি। প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় নিয়েছে।

এবার সিশেলসের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজ খেলতে নেমে এক ম্যাচ ১-০ গোলে জিতে পরের ম্যাচ হেরেছে জামাল ভুঁইয়ারা। আর তাতে সমালোচনার ঝড় উঠল। কাঁপল না জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবস্থান কিংবা কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার চাকরি। এই কোচ কোচিং স্টাফের তালিকায় পছন্দের লোকবল বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু সাফল্য দিতে পারেননি।

আরো পড়ুন: টিভিতে দেখুন আজকের খেলা (১৮ মে ২০২৩)

গতকাল হ্যাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন তিনি সেমিফাইনাল টার্গেট করে এগিয়ে যেতে চান। ম্যাচ বাই ম্যাচ আগাতে চান। সব সময় এই একই কথা বলে আসছেন কোচ। তিনি বলেন, ‘ড্র নিয়ে আমরা খুশি। দুই গ্রুপই শক্তিশালী এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আবারও বলছি ম্যাচ বাই ম্যাচ যেতে চাই। প্রথমে সেমিফাইনালে উঠতে চাই। আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই। ইতিবাচক থাকব। নিজেদের লক্ষ্য পূরণে মাঠে নামব। আমরা আমাদের সামর্থ্য জানি। এখানে প্রতিপক্ষের লড়াইটাকে কঠিন করে তুলতে হবে।’ কোচ বুঝাতে চান বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যেন সহজেই উতরে যেতে না পারে। তিনি বলেন,‘লড়াই করার সামর্থ্য আমাদেরও আছে সেটা বুঝাতে হবে মাঠে, পায়ের ফুটবলে। মেধার খেলা দিয়ে। সেমিফাইনালে যেতে হলে দুই ম্যাচ জিততে হবে। আবার এটাও ঠিক যে, দুই জয়ের মধ্যে পরিস্থিতি কি হয় সেটাও দেখার অপেক্ষা করতে হবে।’ 

এম/

 

বাংলাদেশ লেবানন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

খবরটি শেয়ার করুন