বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

‘অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধে অভিযান শীঘ্রই’

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

দেশে যত অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। 

তিনি বলেন, বর্তমানেও অধিদপ্তরের সর্ভিলেন্স চালু রয়েছে, সেটাকে আরও গতিশীল করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ই জানুয়ারি) সচিবালয়ে ইউনাইটেড মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন তিনি।

আহমেদুল কবীর বলেন, দেশে সবমিলিয়ে নয় হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আট হাজার হাসপাতাল রয়েছে। আমি যখন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলাম, এটি তখনকার হিসাব। এক বছর হলো আমি পরিকল্পনা শাখায় চলে এসেছি। ফলে একদম সঠিক তথ্যটা এই মূহুর্তে বলা আমার জন্য কঠিন। যদিও বর্তমানে আমি দুইটি দায়িত্বই পালন করছি। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসে এক বছর আগে যে কাজ করছিলাম তা আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অতীতে আমরা সারাদেশেই একটা ক্রাশ অভিযান চালিয়েছি। এতে যারা নিবন্ধিত ছিল না, তারা নিবন্ধিত হয়েছে। তাদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। নিবন্ধনটা একটি চালমান প্রক্রিয়া। কোথায় অনিবন্ধিত হাসপাতাল আছে তা আমাদের লোকজন দেখে। যখনই আমরা তথ্য পাই, আমরা চেষ্টা করি তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আহমেদুল কবীর আরও বলেন, সারা বাংলাদেশ বিরাট একটা জায়গা। সারাদেশে কত ধরনের ঘটনা ঘটে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জানে না। কোনো একটা নাশকতা ঘটার পর তা জানা যায়। অর্থাৎ সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স করা তো সম্ভব হয় না। তেমনই হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের বাইরে কিছু হচ্ছে না, তা বলা মুশকিল। তবে আমরা সারাদেশে পুনরায় সার্ভিলেন্স চালাতে বলেছি। আমাদের চলমান অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে।

ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতাল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তারা ইউনাইটেড হেলথ সার্ভিস নামে এটা চালাচ্ছিল। তাদের বক্তব্য, এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিন্তু বিষয়টা আসলে সে রকম না। যেকোনো হাসপাতাল চালাতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে। হেলথ সার্ভিসের নামে চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।

ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদুল কবীর বলেন, বড় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বড়-ছোট কোনো বিষয় নয়। এটি হলো নৈতিকতার প্রশ্ন।

এসকে/ 

অভিযান অনিবন্ধিত হাসপাতাল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন