সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ

ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু: সতর্ক থাকুন যেসব বিষয়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে শুধু বৃষ্টি-বাদল আর স্নিগ্ধতা নয়, সঙ্গে বাড়ে সংক্রামক নানা রোগের শঙ্কাও। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু। এ সময় সুস্থ থাকতে ফ্লুর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। অনেক সময় এটি সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা কিংবা কোভিড-১৯-এর সঙ্গে মিলেও যেতে পারে। সময়মতো চিহ্নিত করতে পারলে উপযুক্ত চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। তথ্যসূত্র হেলথশটের।

বর্ষার সময় পরিবেশে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, বাতাসে ঠাণ্ডা ভাব বাড়ে, চারপাশে জমে থাকা পানি রোগ-জীবাণুর বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ সময় প্রাকৃতিক কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতার অভাবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়াতে পারে খুব সহজে। এসব কারণে বর্ষাকালে ফ্লুর সংক্রমণ বেশি হয়।

১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট কিংবা তার বেশি তাপমাত্রায় হঠাৎ জ্বর আসতে পারে। ফ্লুতে জ্বর খুব দ্রুত তীব্রভাবে দেখা দেয়। এর সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা, শরীর কাঁপা অথবা অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

ফ্লুর শুরুতেই গলাব্যথা দেখা দেয়। এর সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং হাঁচি আসা খুব সাধারণ ঘটনা। এই উপসর্গগুলো সাধারণ ঠাণ্ডার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে জ্বর, শরীর ব্যথা কিংবা ক্লান্তি থাকলে সে ক্ষেত্রে ফ্লু হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, ফ্লু ভাইরাস শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ঘটিয়ে গলা ও নাকের মধ্যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। ফলে গলাব্যথা তীব্র হয় এবং নাকের নালিগুলো বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

ফ্লুর সময় অনেকে মাথায় তীব্র চাপ বা ব্যথা অনুভব করেন। ভাইরাসের কারণে মাথার রক্তনালিগুলো ফুলে উঠতে পারে। এ ছাড়া চোখের চারপাশে অস্বস্তি, লালচে ভাব কিংবা চোখে পানি পড়াও ফ্লু হওয়ার সাধারণ লক্ষণ। অনেক সময় এগুলো সিজনাল অ্যালার্জির মতো মনে হতে পারে। তবে এর সঙ্গে জ্বর, কাশি অথবা গলাব্যথা থাকলে ফ্লু হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

ফ্লুর একটি সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হলো শুষ্ক ও কষ্টদায়ক কাশি। শুরুতে এটি হালকা মাত্রার হলেও সময়ের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে তীব্র ও স্থায়ী আকার ধারণ করতে পারে। কাশির সঙ্গে অনেক সময় গলাব্যথা ও বুকে অস্বস্তি অনুভূত হয়, যা শরীরকে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয়।

ফ্লুতে প্রায়ই পেশিব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং প্রচণ্ড ক্লান্তি দেখা যায়। জ্বর চলে গেলেও দুর্বলতা কয়েক দিন থাকতে পারে। সাধারণ ব্যস্ত জীবনে এমন হঠাৎ অসহ্য ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত।

সাধারণত বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সাধারণ ওষুধেই ফ্লু ভালো হয়ে যায়। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম; যেমন শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী বা দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভোগা মানুষ, তাদের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্ট, বুকব্যথা, মাথা ঘোরা কিংবা লাগাতার বমির মতো সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

জে.এস/

ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন