বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকলে আয়ু বাড়ে, আমেরিকার গবেষকদের দাবি *** ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি *** খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স *** সরকার দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করেনি: মাহফুজ আলম *** মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত *** ২০২৭ সালের জুনের পর ‘করছাড়’ থাকবে না *** ‘বিএসসিপিএলসি আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ পরিবহনে মাইলফলক অতিক্রম করেছে’ *** ‘পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের মতো গাজাও ফিলিস্তিনের অংশ’ *** ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব *** আগামীকাল শেষ হচ্ছে মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ঈদ ঘিরে জমজমাট রাজনীতি

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের ছুটিতে নির্বাচনমুখী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে গেছেন। ঈদের আনন্দঘন সময় কাজে লাগিয়ে বেশিরভাগ প্রার্থী জনগণের কাছাকাছি যাচ্ছেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আওয়ামী লীগবিহীন রাজনৈতিক মাঠে অন্যতম প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচন-কেন্দ্রিক কার্যক্রমে এলাকামুখী হওয়ায় ঈদ ঘিরে সারাদেশে রাজনীতি জমজমাট  হয়ে উঠেছে।

গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর প্রথম রমজান ও ঈদে রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন সরব রেখেছে বিএনপি, জামায়াত ও নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরই মধ্যে এসব দল রমজানজুড়ে ইফতার মাহফিল, জনসংযোগ ও নানা রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিল।

তবে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত। এ সুযোগ গ্রহণ করে জনসমর্থনহীন কয়েকটি দল মাঠ দখলের চেষ্টা করছে।

 ঈদ কেন্দ্র করে জনতার উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে  বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে রাজনীতি চলছে। ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। আর এক্ষেত্রে বিএনপি ও এনসিপি নেতারাই এগিয়ে রয়েছেন।

বিএনপির জোরালো দাবি, আগামী ডিসেম্বরে মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাব মাথায় রেখে দলটি এখন পুরোদমে মাঠ গোছাচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিটে নতুন কমিটি, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন এবং সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে সংগঠনগত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। 

পাশাপাশি নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠানের দাবিতে জনমত গঠনের কাজও করছে দলটি। এ লক্ষ্যে ঈদকে টার্গেট করেছে। দলের নেতারা ও সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা আয়োজন করছেন জনসংযোগ ও ঈদ উপহার বিতরণের কর্মসূচি।

অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি চায় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে দল গোছানোই তাদের মূল লক্ষ্য। পুরো রমজান মাস ও ঈদকে টার্গেট করে এ দুই দলের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় পুরোদমে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন ও ঈদ পরবর্তী  জনসংযোগ চালিয়েছেন। 

তারা সংস্কারের পর নির্বাচনের পক্ষে অবস্থানের কথা মুখে বললেও নির্বাচনী প্রস্তুতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামি ঘরানার অন্যান্য দলও সংসদ নির্বাচন নিয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণের বিপক্ষে মত দিয়েছে। তারাও যার যার মতো জনমত গঠনে কাজ করছে।

গত ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সব নেতাই হামলা-মামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কেউ কেউ রয়েছেন কারাগারে। একের পর এক মামলায় পর্যুদস্ত নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে ঈদে গণসংযোগ তো দূরের কথা, তাদের অধিকাংশই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি।

ঈদের সময় অধিকাংশ মানুষ শহরের যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। প্রতিটি এলাকায় মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। রাজনীতিবিদরা সে সুযোগটা গ্রহণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের আয়োজন হতে পারে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনমুখী দলগুলো গণসংযোগ করছে। ফলে ঈদ ঘিরে জমজমাট হয়েছে উঠেছে রাজনীতি।

এইচ.এস/

রাজনীতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন