ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। অর্থনৈতিক সংকটের এ মুহূর্তে আগামীকাল সোমবার (২রা জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, নতুন বাজেট উচ্চাভিলাষী হবে না। এটি হবে বাস্তবায়নযোগ্য এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে। সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তাবিত বাজটের আকার আগের চেয়ে ছোট করে সাজানো হচ্ছে। প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সবাই পান, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বাজট দেওয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এবারের বাজেট বক্তৃতার কপি হবে সংক্ষিপ্ত, ৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠার। আগামীকাল সকালে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করে নেওয়া হবে।
এ বছর সংসদ না থাকায় আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে টেলিভিশন-বেতারে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টায় বাজেট বক্তব্য শুরু করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশে এখনো অর্থনীতির বড় সমস্যা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগের অভাব। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। আর কর্মসংস্থান না হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। নতুন বাজেটে এ দুটি বিষয়ে বেশি নজর দিতে হবে অর্থ উপদেষ্টাকে।
এদিকে পরপর দুই অর্থবছর অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। আর কমেছে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ আগামী বছরের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত তথা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে বের হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনের প্রস্তুতি বিষয়ে বাজেট ঘোষণায় বিস্তারিত জানতে চান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে সর্বোত্তম সেবা পেতে সরকারের উদ্যোগ দেখতে চায় সংশ্লিষ্ট মহল।
এবার নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৫.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশ প্রাক্কলন করছে অর্থ বিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছিল। এ ছাড়া অর্থ বিভাগ সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৮.৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে।
আরএইচ/