সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গতকাল বুধবার (৭ই মে) রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি দেশ ছাড়েন বলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র সুখবর ডটকমকে নিশ্চিত করেছে।
বিমানবন্দরের সূত্রগুলো জানায়, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার এক ছেলে ও শ্যালক। নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়নি।
আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ আছেন। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর তিনি ২০১৮ সালের ২৪শে এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে তার বাসায় উঠেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। গত ১৪ই জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি হয়।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন