মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

আমেরিকা-ইসরায়েলের মিত্রতার নতুন অধ্যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৫

#

লেবানন সীমান্তে আমেরিকা-ইসরায়েলের সম্মিলিত পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রতা। ইসরায়েল যখন এক সপ্তাহ ধরে ইরানি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, তখন আমেরিকা সরাসরি ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান অস্ত্র এফ-৩৫, এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান—সবই আমেরিকার তৈরি। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যুদ্ধ কেবল সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং ওয়াশিংটন ও জেরুজালেমের মধ্যকার আরও ঘনিষ্ঠ, কৌশলগত ও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব বজায় রাখতে ইসরায়েলকে এখন গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই দেশের এ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে, যার পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংযোগ।

বিশেষ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময়; যখন কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের নিয়ে আমেরিকায় প্রশ্ন উঠেছে, তখন ইসরায়েলকে ঘিরে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।

প্রথম দিকে আমেরিকা ও ইহুদিদের সম্পর্ক ছিল সীমিত। ১৯৪৮ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে আইজেনহাওয়ার প্রশাসন ১৯৫৬ সালের সুয়েজ সংকটে ইসরায়েলকে সমর্থন না করে মিসরকে সোভিয়েত প্রভাব থেকে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এতে আমেরিকা-ইসরায়েল কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়।

এরপর ১৯৬০-এর দশকে জন এফ কেনেডি প্রশাসনের অধীনে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। ১৯৬৫ সালে ইসরায়েলকে হক মিসাইল বিক্রির মাধ্যমে ওয়াশিংটন-জেরুজালেম সম্পর্কে নতুন মোড় আসে। এরপর ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপুর যুদ্ধে নিক্সন প্রশাসন সরাসরি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পাঠায়।

জে.এস/

ইসরায়েল-আমেরিকা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন