মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

ইসরায়েলের বেড়ায় বড় কারাগারে রূপ নিল পশ্চিম তীরের সিনজিল শহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৫

#

এভাবেই সিনজিল শহরে বেড়া তুলে দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর সিনজিল এখন কার্যত একটি খোলা কারাগার। কারণ, শহরটির পূর্ব প্রান্তে পাঁচ মিটার উঁচু ধাতব বেড়া দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এই বেড়ার একটি মাত্র প্রবেশপথ খুলে রেখে সবদিক সিল করে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র গেটটি আবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। খবর রয়টার্সের।

গতকাল শুক্রবার (৪ঠা জুলাই) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি চেকপোস্ট ও দেয়ালের সঙ্গে পশ্চিম তীরের প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি অনেক আগে থেকে পরিচিত। কিন্তু গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বহু শহর ও গ্রাম এখন স্থায়ী অবরোধের মধ্যে রয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, সিনজিলের পাশে থাকা রামাল্লাহ-নাবলুস মহাসড়ক সুরক্ষিত রাখতেই বেড়া তোলা হয়েছে। শুধু একটি পথ খোলা থাকায় যাতায়াতে কোনো অসুবিধা নেই বলেই দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। কিন্তু বাস্তবতা হলো—শহরটির বাসিন্দাদের সরু ঘুরপথ দিয়ে গাড়ি বা পায়ে হেঁটে বের হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

শহরের ডেপুটি মেয়র বাহা ফোকা জানিয়েছেন, নতুন বেড়াটি ৮ হাজার মানুষকে মাত্র ১০ একরের মধ্যে আটকে ফেলেছে। অথচ এই শহরের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন ২ হাজার একর জমি রয়েছে বাইরের দিকে। সেখানে যাওয়া এখন কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ডেপুটি মেয়র বলেন, এটি দখলদার বাহিনীর ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল ও ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা।

এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের বেড়া ও চেকপয়েন্ট পশ্চিম তীরে থাকা প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতির বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য অপরিহার্য। তারা দাবি করে, সিনজিলের লোকজন সড়কের অপর পাশের ইহুদি বসতিগুলোর বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে প্রায়ই পাথর ও পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। তবে বেশিরভাগ দেশ ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি জমিতে ইসরায়েলি এই বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

জে.এস/

ইসরায়েল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন