ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার (১১ই মে) জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি রাশিয়া আগেই যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়, তাহলে ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত। খবর রয়টার্সের।
গত শনিবার (১০ই মে) রাত দেড়টায় এক ভাষণে নিজের প্রস্তাবের কথা জানান পুতিন। এ সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় পক্ষের প্রতি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চেয়ে ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্ট করে বলেন, এটি শান্তির জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, কোনো শর্ত ছাড়াই তিনি সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা তুরস্কে নতুন যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যদি শান্তির শুরু হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না দেয়, তাহলে আলোচনা সম্ভব নয়।
এদিকে ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ জানান, এ আলোচনায় ২০২২ সালের একটি ত্রুটিপূর্ণ শান্তি চুক্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে। আর ইউক্রেনের স্বীকৃতির বিনিময়ে রাশিয়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, এমন এক অবিরাম রক্তপাতের পরিণতি যাতে শেষ হয়, তা ভাবুন। এ ছাড়া ইউরোপীয় বড় শক্তিগুলোও গত শনিবার কিয়েভে পুতিনকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও পুতিন তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, শান্তির আলোচনা শুরুর আগে যুদ্ধের মূল কারণগুলো আলোচনায় আনতে হবে।
তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ পুতিনের এ প্রস্তাবকে একটি ‘প্রাথমিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া তিনি মনে করেন, এটি যথেষ্ট নয় এবং যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো পূর্বশর্ত হওয়া উচিত নয়। এর আগেও পুতিন একাধিকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিরেও সেগুলোর কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন