শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারত যে পারমাণবিক বোমা ফেলেনি, এটা পাকিস্তানের বুঝতে সময় লেগেছে ৩০-৪৫ সেকেন্ড *** আসাদের ঘনিষ্ঠদের যেভাবে ধরা হচ্ছে সিরিয়ায় *** সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** এনবিআরের কমিশনারসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু *** গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান *** ডেঙ্গু শনাক্তে ১৯ হাজার কম্বো কিট দিল চীন *** বিশ্বকাপে চোখ রেখে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ *** সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন *** মোটর ও ইলেক্ট্রনিকস খাতে যৌথ উদ্যোগ চান বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা *** আইজিপির সঙ্গে ইউনেসকো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক সান্তাল হুল দিবস পালিত

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪২ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৫

#

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে ঐতিহাসিক ১৭০তম সান্তাল হুল দিবস পালিত। ছবি: সংগৃহীত

‘যেখানে অধিকার বঞ্চনা, সেখানেই হুল’-এ স্লোগান সামনে রেখে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ১৭০তম সান্তাল হুল দিবস। আজ সোমবার (৩০শে জুন) বেসরকারি সংস্থা সিসিবিভিও, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটি ও স্থানীয় গ্রাম সংগঠনগুলোর আয়োজনে দিনটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে সকালে রক্ষাগোলা সংগঠনের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সিসিবিভিও শাখা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি কাঁকনহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার শহীদ মিনারে যায়। সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার। আরও বক্তব্য দেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা সুমিতা হাঁসদা, মলিন মার্ডী, বাপ্পি মার্ডী, মুকুল সরেন ও রঞ্জিত রায়।

বক্তারা বলেন, ‘১৭০ বছর ধরে সান্তাল হুল দিবস সাঁওতালদের কাছে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের গৌরবোজ্জ্বল এক স্মারক। কিন্তু এখনো আমরা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। এখনো ভূমির অধিকার বা সমতলের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। আমরা আমাদের স্বীকৃতি চাই।’

সান্তাল হুলের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ১৮৫৫ সালের ৩০শে জুন শুরু হওয়া সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল উপমহাদেশের প্রথম সশস্ত্র গণ-আন্দোলন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, তাদের দেশীয় দালাল জমিদার, সুদখোর ও পুলিশ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব নামের চার ভাই। তাদের সঙ্গে ছিলেন দুই বোন ফুলোমনি ও ঝালোমনি মুরমু। প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন এ যুদ্ধে। পরে পর্যায়ক্রমে চার নেতা নিহত হলে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।

বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক এ আত্মত্যাগ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের পাথেয় হয়ে উঠেছিল। তাই অনেক সাঁওতাল দিনটিকে ‘সিধু-কানু দিবস’ হিসেবেও পালন করেন। সেই বিদ্রোহ আজও সাঁওতালদের পথ দেখায়। তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য টিকে থাকেন।

সান্তাল হুল দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন