ছবি: সংগৃহীত
আষাঢ় মানে বাহারি স্বাদের খিচুড়ির আয়োজন। ঝুম বৃষ্টিতে গরম-গরম সুস্বাদু খিচুড়ি বাঙালির রসনাবিলাসের দারুণ এক উপকরণ। সকালে জানালা খুলে আকাশজুড়ে মেঘ দেখা গেলেই অনেকে মনে মনে ঠিক করে নেন, আজ রাতে খিচুড়ির আয়োজন হবে। এই খাবার কতভাবেই যে আমাদের দেশে খাওয়া হয়, তার কোনো হিসাব নেই।
ডেগের ভেতরে ডাল-চাল ঘুঁটা দিলেই খিচুড়ি হয়, সেটা যেমন ঠিক; তেমনি ঠিক এটি খাওয়ার আলাদা আয়োজন আছে। শুধু ডাল দিয়ে এটি রান্না করা যায়। কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশিয়েও রান্না হয়, আবার ডাল ও সবজির মিশেলেও এটি রান্না হয়। এ ছাড়া খিচুড়ি আছে ল্যাটকা, আছে ভুনা আবার আছে ল্যাটকা ও ভুনার মাঝামাঝি। এর সঙ্গে ইলিশ ভাজা হলে তো তাকে মহাভোজ বলা চলে।
অনেকে মাংসের ভুনা দিয়ে খেতে ভালোবাসেন এটি। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের আচার, ভর্তা আর ডিম ভাজা দিয়েই খেয়ে নেন প্লেটখানিক। মোদ্দাকথা, খিচুড়ির রেসিপির যেমন শেষ নেই, তেমনি এটি খাওয়ার আয়োজনেরও কমতি নেই। খিচুড়িপ্রেমীদের জন্য আজ থাকছে মুখরোচক মুগ ডালের খিচুড়ির রেসিপি।
উপকরণ
পোলাওয়ের চাল এক কেজি, মুগ ডাল ৪০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, এলাচি ও দারুচিনি ২ থেকে ৩ পিস করে, লবণ ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল এক কাপের একটু কম, ঘি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, পানি দেড় লিটার।
প্রণালি
মুগ ডাল লালচে করে ভেজে সেদ্ধ করে নিন ৫ মিনিট। এবার চাল ধুয়ে নিন। যে হাঁড়িতে রান্না করবেন, তাতে চাল, মুগ ডাল সেদ্ধ, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, সয়াবিন তেল ভালো করে মাখিয়ে পানি দিয়ে দিন। তারপর চুলার তাপ বাড়িয়ে হাঁড়িতে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন আরও ১০-১২ মিনিট। নামানোর আগে ঘি দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর? গরম-গরম মাংস কষা, সবজি আর আচারের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন