ছবি: সংগৃহীত
বাড়িভাড়া নেওয়ার সময় বসা এবং শোয়ার ঘর যাচাই করার মতো রান্নাঘরটাও বেশির ভাগ মানুষ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। একটু বড় রান্নাঘর হলে সেটা খুশির বিষয়। আবার তাতে যদি মডিউলার কিচেন ক্যাবিনেট থাকে, তাহলে তো আনন্দের শেষ নেই। এতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে সাজিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চোখের আড়ালে রাখতে এসব ক্যাবিনেট খুব উপযোগী। সূত্র: দ্য কিচেন ও অন্যান্য।
এই মডিউলার কিচেনের ক্ষেত্রে কাঠ, প্লাইউড, ফাইবার বোর্ড বা অ্যাক্রিলিক কিচেন ক্যাবিনেট সচরাচর দেখে থাকি। এ ধরনের ক্যাবিনেটের উপকরণভেদে যত্ন নিতে হয়, যা আমরা অনেকে হয়তো জানি না।
তৈরির উপকরণভেদে রান্নাঘরের ক্যাবিনেট ঝকঝকে ও জীবাণুমুক্ত রাখতে যা করবেন,
অ্যাক্রিলিক কিচেন ক্যাবিনেট
প্রতিদিন রান্নার কাজ শেষে যতটা সম্ভব ক্যাবিনেট পরিষ্কার করে ফেলুন। রান্না করার পর কুসুম গরম পানিতে ডিশওয়াশ মিশিয়ে তাতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেগুলো মুছে নিন। মাসে অন্তত একবার সাবান-পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ক্যাবিনেট পরিষ্কার করা উচিত।
কাঠের ক্যাবিনেট
কাঠের ক্যাবিনেটে খুব সহজে তেল, মসলা বা হাতের ছাপ পড়ে দাগ লেগে যায়। এতে ক্যাবিনেটের রং খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই বছরে অন্তত দুবার কাঠের ক্যাবিনেট ডিপ ক্লিন করা দরকার। ক্যাবিনেটে মসলার দাগ লেগে গেলে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে একটা স্পঞ্জ ভিজিয়ে ভালো করে মুছে নিন। এরপর নরম ও শুকনো কাপড় দিয়ে আরেকবার মুছে নিন। কাঠের কিচেন ক্যাবিনেটের বাইরের এবং ভেতরের অংশ মোছার জন্য ভিনেগার ও বেকিং সোডার মিশ্রণ সব সময় ব্যবহার করতে পারেন।
প্লাইউড ও ফাইবার বোর্ডের ক্যাবিনেট
প্লাইউড ও ফাইবার বোর্ডের ক্যাবিনেট পরিষ্কার করতে একটি কাপড় ভিজিয়ে ভালোভাবে নিংড়ে নিন; যাতে কাপড় ভেজা থাকলেও পানিপূর্ণ না থাকে। এই কাপড় দিয়ে ক্যাবিনেট মুছে আবারও শুকনো কাপড় দিয়ে সেটি মুছে নিতে হবে। এতে ক্যাবিনেট নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
মনে রাখা জরুরি
কিচেন ক্যাবিনেট পরিষ্কারের জন্য ব্লিচ বা অ্যামোনিয়া ব্যবহার করবেন না। এতে ক্যাবিনেট দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
এটি পরিষ্কার করার সময় এর হাতলও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কারণ, হাতল থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে।
বাসনকোসন ধুয়ে ক্যাবিনেটে রাখার আগে অবশ্যই তোয়ালে দিয়ে মুছে রাখবেন। নয়তো সেগুলো থেকে পানি পড়ে ক্যাবিনেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন