ছবি: সংগৃহীত
চাকরির পেছনে না ছুটে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার তিন ভাই বাড়ির পাশের ক্ষেতে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালিয়া পৌরসভাধীন ঘোষপাড়ার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রমজান খান (২৬) বিষমুক্ত সবজি চাষ করে কৃষি কাজে চমক দেখিয়েছেন। প্রায় সাত বছর আগে কৃষি খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রথমে শশা চাষের মধ্যদিয়ে কৃষি কাজে যুক্ত হন রমজান। এ কাজে কোনো অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ না থাকায় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরবর্তীতে মালচিং পদ্ধতিতে শশার পাশাপাশি আগাম জাতের টমেটো, বেগুন, মরিচ ও বাঁধাকপির চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর এই কৃষি খামারের সাথে যুক্ত হন রমজানের বড় দুই ভাই এলাহী খান ও ওয়ায়েস খান। কৃষি খামার থেকে এখন খরচ বাদে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা।
রমজান জানান, আগাম জাতের টমেটো প্রথম দিকে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এছাড়া 'সাথী ফসল' হিসেবে টমেটোর পাশাপাশি বাঁধাকপির চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। টমেটো ক্ষেতের পাশের দু'টি জমিতে বেগুন ও মরিচ আবাদ করেছি। তিনটি জমি মিলে বর্তমানে ৫০ শতকে সবজি চাষাবাদ করছি। আমাদের সবজি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত। তাই চাহিদা বেশি। আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটো, বেগুন, মরিচ ও বাঁধাকপির চাষ করে লাভবান হয়েছি। আমাদের ক্ষেতে উৎপাদিত টাটকা সবজিগুলো বাজারে নিলে আগেভাগে বিক্রি হয়ে যায়। আমাদের তিন ভাইয়ের এই কৃষি খামারে আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভালো ফলন পেতে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন।'
‘কৃষি একটি ভালো বিজনেস' হিসেবে উল্লেখ করেন সফল কৃষি উদ্যোক্তা রমজান।
আরও পড়ুন: যে কারণে গাজর চাষে বিখ্যাত হয়ে উঠছে নওগাঁ
কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষে রমজানসহ তাদের তিন ভাইয়ের সাফল্য এলাকায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসি/ আই.কে.জে