ছবি: সংগৃহীত
কাঠমান্ডুর আকাশে আজ মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই মেঘের আনাগোনা। তবে এ মেঘ বৃষ্টির নয়, অনিশ্চয়তা আর উদ্বেগের। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজকের জন্য সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ এই অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোটেশ্বরের কাছে ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর থেকেই এই সতর্কতা জারি করা হয়।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক হংস রাজ পান্ডে নিশ্চিত করেছেন, পরিস্থিতি গুরুতর হলেও বিমানবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ নয়। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ হয়নি। আমরা এটি বন্ধও করব না।’ তবে ধোঁয়া এবং চলমান অবস্থার কারণে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
এদিকে, বিমানকর্মীরাও বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারছেন না। যানবাহন চলাচলে সমস্যা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তাদের গতিবিধি সীমিত করা হয়েছে, ফলে কোনো ফ্লাইটই টেকঅফ করতে পারছে না। বুদ্ধা এয়ার-এর মতো অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থাগুলো নিরাপত্তা কারণ দেখিয়ে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। রানওয়েতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের মধ্যে হতাশা ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কখন স্বাভাবিক হবে সবকিছু?
বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বসে থাকা যাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট সময় জানাতে পারছে না। যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, খবরের কাগজ পড়ছেন, আর মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। অনেক যাত্রী ক্ষুব্ধ, অনেকে হতাশ, আবার কেউ কেউ শুধু পরিস্থিতির শিকার হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
এই অনিশ্চয়তা বিমানবন্দরে এক নিস্তব্ধতা তৈরি করেছে। এই থমকে থাকা পরিস্থিতি শুধু যাত্রীদের নয়, বিমানবন্দর কর্মীদের মধ্যেও এক অজানা শঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারের দুর্নীতি এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা তরুণদের বিক্ষোভে গতকাল সোমবার পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। আজও তরুণেরা রাজপথে রয়েছে । রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন