ছবি: সংগৃহীত
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মসহ পর্যটন শিল্পের নিবিড় এবং টেকসই উন্নয়নে দেশের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ‘পর্যটন সপ্তাহ’ ও ‘পর্যটন মাস’ উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
পর্যটন শিল্প বিকাশের সব সম্ভাবনা এ দেশে বিরাজমান। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে আরো নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে। পর্যটন শুধু এককভাবে সরকারের কাজ নয়। জনসাধারণ এর মূল অংশীদার। তাই পর্যটন শিল্পের বিকাশ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মোট জিডিপির শতকরা ৩.০২ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ পর্যটনশিল্পের ১২ টি উপখাতের উল্লেখ রয়েছে যেখানে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে ‘ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান’ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের পরিবারের সদস্যকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় ঘোষণা বিমান বাংলাদেশের
তিনি আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর সকালে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রাণলয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিশ্ব পর্যটন দিবস। প্রতি বছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযথভাবে দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Tourism and Peace’ যার বাংলা প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম ফাতেমা রহিম ভীনা, মো. আনিসুর রহমান, আব্দুন নাসের খান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য এস এম লাবলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসি/কেবি