সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি, ঐক্যবদ্ধ থাকি : সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২০ অপরাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব।

মঙ্গলবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাত বরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আজ একটা বেদনাবিধুর দিবস। বিগত ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে, শুধু তাই নয় আমরা কিছু পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। অনেকে ছবিতে দেখেছেন, তবে আমি এ বর্বরতার চাক্ষুষ সাক্ষী। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে- এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংগঠিত। ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা সাজাপ্রাপ্ত সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না।

তিনি বলেন, যেসব সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জড়িত ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি জড়িত ছিল কি না সেটা কমিশন বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন। আমাদের এই চৌকস সেনা সদস্যরা যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা এসব জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আমি আজ কিছু উপদেশ দিয়ে যাব, সেটা যদি আপনারা গ্রহণ করেন তাহলে লাভবান হবেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। এটার জন্য ডানে-বামে দৌড়িয়ে কোনো লাভ হবে না, নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না– আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, কিছু কিছু সদস্যের দাবি তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ বোর্ডের সদস্য। প্রথম ধাপে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশ আমি গ্রহণ করেছি এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি। নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীও তাদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেটার জন্য ছাড় হবে না, বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। এটি একটি ডিসিপ্লিন ফোর্স, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন।

ওআ/ আই.কে.জে/   

সেনাপ্রধান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন