ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমাতে গ্রিন টি দারুণ জনপ্রিয়। স্বাদের বিচারে হয়তো অনেকেই এ পানীয়কে খুব একটা এগিয়ে রাখবেন না, তবে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ গ্রিন টি গ্রহণ করেন এর গুণের জন্যই। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, সত্যিই কি গ্রিন টি গুণে ভরপুর?
গ্রিন টিতে থাকে পলিফেনল নামের বিশেষ উপাদান, যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গ্রিন টি থেকে যতটা উপকার মেলে, এর বেশিরভাগই পাওয়া যায় এ উপাদানটির কারণে। তবে এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন, এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করা হলে তাতে এতটাও বেশি পরিমাণে পলিফেনল থাকে না, যা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে কেবল এক কাপ গ্রিন টি পান যথেষ্ট নয়। এমনটাই বলছিলেন টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান।
গ্রিন টি সরাসরি আপনার ওজন কমাবে না। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে বাড়তি মেদ ঝরে যাবে, এমনটা ভেবে নেওয়া যাবে না। গ্রিন টি আমাদের বিপাক হার বাড়ায়। অর্থাৎ ক্যালরি পোড়ানোর কাজটা ত্বরান্বিত হয় গ্রিন টির প্রভাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে শরীরচর্চা করতেই হবে। গ্রিন টি কখনোই শরীরচর্চার বিকল্প নয়।
রোজ এ পানীয় পান করলে আপনার শরীরচর্চাটা আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠবে। গ্রিন টি পান করলে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতাও কমে। বুঝতেই পারছেন, সব মিলিয়ে ওজন কমাতে গ্রিন টি একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করা হলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এসব রোগের ঝুঁকি কমে যায়। অনেকে কম বয়সে এসব মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। তাই সচেতনতা প্রয়োজন সবারই। অন্যান্য অনেক পানীয়ের চেয়ে গ্রিন টি অনেক বেশি নিরাপদ।
যে কোনো চা পান করলে আপনি সতেজ অনুভব করেন। গ্রিন টিও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্দিষ্ট কাজে মনস্থির করতে ও লম্বা সময়ের জন্য মনোযোগ ধরে রাখতে গ্রিন টি দারুণ উপকারী।
বয়সের ছাপ এড়াতে সাহায্য করে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। যা পাবেন গ্রিন টি’তে। অন্যদিকে আবার প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে গ্রিন টি।
গ্রিন টির অধিকাংশ উপকার পেতে আপনাকে রোজ অন্তত চার কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে। অন্যান্য চা দুই–এক কাপের বেশি পান করা বারণ হলেও অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্যই চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান ক্ষতিকর নয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন