শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আসাদের ঘনিষ্ঠদের যেভাবে ধরা হচ্ছে সিরিয়ায় *** সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** এনবিআরের কমিশনারসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু *** গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান *** ডেঙ্গু শনাক্তে ১৯ হাজার কম্বো কিট দিল চীন *** বিশ্বকাপে চোখ রেখে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ *** সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন *** মোটর ও ইলেক্ট্রনিকস খাতে যৌথ উদ্যোগ চান বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা *** আইজিপির সঙ্গে ইউনেসকো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ *** সাগরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, সপ্তাহজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টির পূর্বাভাস

জলাবদ্ধতার নিরসন কবে হবে?

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৭:০৬ অপরাহ্ন, ১৭ই জুন ২০২৫

#

রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় টানা বৃষ্টি হলে রাস্তায়  পানি জমে। এতে বিশেষ করে, বর্ষাকালে নগরবাসী ভোগান্তির শিকার হন। কোনো কোনো এলাকা সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটসহ তলিয়ে যায়। তখন রাস্তাঘাটে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আবার এতে নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়; কখনো কখনো গণপরিবহণ, ব্যক্তিগত গাড়িগুলো রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের বর্জ্য একাকার হয়ে গেলে চলাচলের সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। 

রাজধানীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে প্রায় শত বছর আগে নগর পরিকল্পনাবিদ স্যার প্যাট্রিক গেডিস ঢাকা শহর ও এর আশপাশের নদী, খাল, জলাধারগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণে গুরুত্ব আরোপের কথা বলেন। শতবর্ষ পরও কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে প্যাট্রিক গেডিসের পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন। 

ঢাকা ও এর আশপাশে যেসব নদী, খাল ও জলাধার রয়েছে-সেগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হলে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়বে। বাস্তবতা হলো, ঢাকার আশপাশের অনেক নদী ভূমিদস্যুদের কারণে ভরাট হয়ে গেছে।

ইতিহাসবিদদের মতে, ঢাকায় খালের সংখ্যা অর্ধশতের বেশি  হলেও অধিকাংশেরই অস্তিত্ব আজকাল আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যে কয়েকটি খাল এখনো সচল আছে, সেগুলোর গতি প্রবাহ ঠিক রাখা এবং যেগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে, সেগুলোর সংস্কার ও সংরক্ষণে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার দরকার। তাহলেই রাজধানীর জলাবদ্ধতা অনেকটা কমে আসবে। 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মোট ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে ৩৮৫ কিলোমিটার ঢাকা ওয়াসার অধীনে এবং প্রায় দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে আছে। এর বাইরে ৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২৬টি খাল ও ১০ কিলোমিটার বক্স-কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল ঢাকা ওয়াসার। দুই সংস্থার মালিকানার কারণে বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলো একে-অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। এর ফলে সাধারণ মানুষকে নিদারুণ ভোগান্তির কবলে পড়তে হয়।

ঢাকার জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম খাল-নদীগুলো অবৈধ দখল ও কঠিন বর্জ্যে ভরাট হয়ে আছে। নগরের খাল, ড্রেন, বক্স-কালভার্ট ও ব্রিক সুয়ারেজ লাইন দিয়ে পানি নদীতে যেতে পারছে না। 

ড্রেনেজ সিস্টেমেও সমস্যা রয়েছে। যেখানে সহজেই পানির সঙ্গে বিভিন্ন বর্জ্য যেমন- পলিথিন ও অন্যান্য অপচনশীল পদার্থ ভেসে গিয়ে নালার মধ্যে আটকে যায়। ফলে পানি সহজে নিষ্কাশন হতে পারে না, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।

ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ঢাকার জলাবদ্ধতার নিরসন কবে হবে?তবে জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে শুধু সরকার বা সিটি করপোরেশনকে পুরোপুরি দোষ দিয়ে লাভ হবে না। এর জন্য জনগণের সচেতনতাও জরুরি। অনেকে বর্জ্য ড্রেনে ফেলেন। যার কারণে ড্রেনেজগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। সরকারের পাশাপাশি নিজেদের সতর্ক হতে হবে এবং অন্যকেও এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

জলাবদ্ধতা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন