বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৬১ বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়লেন চোই *** নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক *** তলেতলে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়েছে শিবির: মির্জা আব্বাস *** নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি *** জাকসু নির্বাচন আজ, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফল *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ ইসলাম *** নেপালের কারাগার থেকে কমিউনিস্ট নেতা টপ বাহাদুরও পালিয়েছেন *** গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ইসলামবিরোধী আমেরিকান বাইকার গ্যাং *** নেপাল থেকে জামালদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট, অপেক্ষা অনুমতির *** ঘুষকাণ্ডে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

শৈশবের যৌন নির্যাতনের ছবি এক্সে, মুছতে মাস্কের কাছে আকুতি ভুক্তভোগীর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৪ অপরাহ্ন, ২৬শে আগস্ট ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে মানবিক আবেদন জানালেন শৈশবে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া আমেরিকার এক নারী। তার নির্যাতনের ছবি যাতে আর কেউ এক্সে শেয়ার না করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে মাস্কের কাছে অনুরোধ জানান জোরা (ছদ্মনাম)। খবর বিবিসির।

জোরা বলেন, ‘আমার দুঃসহ অভিজ্ঞতার ছবি এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে—এটা শুধু আমার নয়, অসংখ্য ভুক্তভোগীর জন্যই বেদনাদায়ক।’ আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে একজন আত্মীয়ের হাতে প্রথম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

জোরা বলেন, ‘প্রতিবার যখন কেউ এসব ছবি শেয়ার করে বা বিক্রি করে, তারা সেই ভয়ংকর নির্যাতনের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়।’ এক্স দাবি করেছে, তারা শিশু যৌন নির্যাতনের কনটেন্ট বিষয়ে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে চলছে এবং শিশুদের সুরক্ষা তাদের ‘অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে’।

বিবিসির এক অনুসন্ধানে শিশু পর্নোগ্রাফির বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, এক্সের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে জোরার ছবি বিক্রি করা হচ্ছে। এটি ছিল এমন হাজার হাজার ছবি ও ভিডিওর মধ্যে একটি। ছবিগুলো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

টেলিগ্রামের অ্যাকাউন্টটি ট্র্যাক করতে গিয়ে একটি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এই অ্যাকাউন্টের মালিক বসবাস করেন। জোরা জানান, তার নির্যাতনের ছবি প্রথমে পাওয়া যেত ডার্ক ওয়েবে। তবে এখন এক্সে তা উন্মুক্তভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমার শরীর কোনো পণ্য নয়, কখনো ছিল না, কখনো হবেও না। এসব ছবি যারা ছড়ায়, তারা শুধু দর্শক নয়, তারাও অপরাধী।’

জে.এস/

ইলন মাস্ক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন