মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ *** ২৪শে জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত *** ঠাকুরগাঁওয়ে অপহৃত কিশোরী ৫০ দিন পর টাঙ্গাইলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ *** ভারত থেকে আজই দেশে আসছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সরঞ্জাম

এবার ৩টি পর্বতারোহণে রেকর্ড গড়লেন পাবনার তৌকির

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:১৮ অপরাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২৪

#

কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই ক্লাইম্বিং করে এবারই প্রথম কোনো বাংলাদেশী হিসেবে মাত্র ২৭ দিনে নেপালে ৩টি ছয় হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত চূড়া স্পর্শ করলেন পাবনার চাটমোহরের সন্তান আহ্সানুজ্জামান তৌকির (২৭)। তার এই অভিযানের নাম ছিলো "TREE PEAK IN A ROW"। এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো রোপ ফোর আউটডোর অ্যাডুকেশন। তার এই সফলতার খবরে উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষ।

চলনবিল অঞ্চলের ছেলে পাবনার চাটমোহর পৌর সদরে বেড়ে উঠা এই তরুণ আহ্সানুজ্জামান তৌকির পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও পর্বতারোহণে তার রয়েছে বেশ কিছু সফলতা। তরুণ এই পর্বতারোহী গত তিন বছরে হিমালয়ের পাঁচটি ছয় হাজার মিটারের চূড়ায় শুধু লাল-সবুজের পতাকার মাতৃভূমিকে তুলে ধরেছেন অনন্য উচ্চতায়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তৌকির জানান, বাংলাদেশ থেকে গত ৪ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন তিনি। কাঠমুন্ডুতে ২ দিনের অভিযান প্রস্তুতি শেষে চলে যান এভারেস্ট রিজিওনের খুম্বু ভ্যালীতে। সেখানে টানা পাঁচ দিন ট্রেকিং শেষে ১১ই অক্টোবর পৌঁছান ডিংবোচে গ্রামে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তার আইল্যান্ড পিক (৬১৬৫ মিটার) অভিযানের কথা থাকলেও টীম লিডার মহিউদ্দিন মাহির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ১২ই অক্টোবর লবুচে পিক অভিযানে যান তৌকির। সিদ্ধান্ত নেন কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই একা ক্লাইম্ব করবেন ৬১১৯ মিটারের লবুচে পিক।

১২ই অক্টোবর সকালে প্রয়োজনীয় ক্লাইম্বিং ইকুইপমেন্ট নিতে চলে যান ডিংবোচে থেকে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরের চোখুং গ্রামে। সেখান থেকে শুরু করেন ১৩ কিলোমিটার দূরের লবুচে হাই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা। বিকালে লবুচে হাই ক্যাম্প পৌঁছে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ২টা ২০ মিনিটে সামিট পুশ করেন এবং সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে পা রাখেন লবুচে ইস্ট পর্বত চূড়ায়, তুলে ধরনের বাংলাদেশের পতাকা। প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই তিনি এই পর্বত অভিযান শেষ করেন।

তৌকির জানান, এরপর তিনি দলের সঙ্গে চলে যান এভারেস্ট বেস ক্যাম্প, সেখান থেকে আবার ফিরে আসেন আইল্যান্ড পিক ভিলেজ ক্যাম্প খ্যাত চোখুং এ। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে ১৭ই অক্টোবর যাত্রা শুরু করেন আইল্যান্ড পিক বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। দুপুরে বেস ক্যাম্পে পৌঁছে দুপুরের খাবার খেয়ে টীমমেটদের প্রশিক্ষণ দেন অ্যাসেন্ডিং এবং ডিসেন্ডিং কৌশলের। এরপর রাত ১টা ৪ মিনিটে সামিট পুশ করেন। প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া, একটু পর পর তুষারপাত এবং ফিক্সড রোপে প্রচুর ট্রাফিক পেরিয়ে ১৮ অক্টোবর সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে আইল্যান্ড পিক (৬১৬৫ মিটার) চূড়ায় লাল-সবুজের পতাকা উড়ান।

সফল সামিট শেষে তৌকির ফিরে আসেন চোখুং এ। এরপর নেমে আসেন শেরপা রাজধানী নামচে বাজার হয়ে লুকলা গ্রামে। সেখান থেকে শুরু হয় তার তৃতীয় অভিযানের প্রস্তুতি। খুম্বু ভ্যালী ছেড়ে এবার তিনি যাত্রা শুরু করেন হিংকু ভ্যালীর দিকে। টানা ৭ দিন মাকালু-বারুনসে ফরেস্ট ট্রেকিং শেষে ২৭ অক্টোবর হিংকু নদীর উৎপত্তি স্থল পেরিয়ে শেষ গ্রাম খারে তে পৌঁছান তৌকির। সকল ইকুইপমেন্ট চেক এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে ২৯ অক্টোবর মেরা পিক হাই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিকালে হাই ক্যাম্পে পৌঁছান। কিছুটা বিশ্রাম শেষে রাত ০২টা ০৮ মিনিটে সামিট পুশ করেন এবং ৩০ অক্টোবর সকাল ০৭টা ৩৬ মিনিটে তিনি সহ তার পুরো টিম মেরা পিক (৬৪৬১ মিটার) সামিট করেন এবং মেলে ধরেন লাল-সবুজের পতাকা।

ওআ/

রেকর্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন