বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** অতি দ্রুত নির্বাচনই উত্তরণের পথ: মির্জা ফখরুল *** আরও ১৩টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা *** ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ইরান, পরমাণু কর্মসূচি চলবে: পেজেশকিয়ান *** নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে সবাই: আলী রীয়াজ *** পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ *** মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব: গণমাধ্যম তদন্ত করলে সহযোগিতা করবে আইএসপিআর *** এশিয়ার সেরা নির্মাতার পুরস্কার পাচ্ছেন ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি *** স্বেচ্ছায় পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা *** গাজায় যুদ্ধাপরাধ, দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বেলজিয়াম *** আজ ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

নিয়ন্ত্রণহীন বাজার, চরম অস্বস্তিতে মানুষ, লাগাম টানবে কে?

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০২:০৩ অপরাহ্ন, ৬ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পরও ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি এলো না। বরং অস্বস্তি আরো কয়েক গুণ বেড়েছে। বিগত সরকারের সময় সিন্ডিকেটের অভিযোগ ছিল। যার কারণে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।

দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে ছিলেন। যার ক্ষোভ গণআন্দোলনের সময় দেখা গেছে।মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রতীক্ষায় ছিল। মানুষের ধারণা ছিল নতুন সরকার এলে তাদের স্বস্তি হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের দুই মাসে দাম তো কমেনি বরং জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলছে। ফলে এখন আর কোনো পণ্যই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই।

গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্য আগেই হারিয়েছে। তারা এখন ভাত ও সবজির উপর নির্ভরশীল।কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে চার-পাঁচ টাকা।

সবজির দাম এতোটাই বেড়েছে যে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সবজির কেজি কোনটিই একশ টাকার নিচে নেই। কিছু সবজির কেজি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। কাঁচা মরিচ সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকা। প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দাম। গরু-খাসির মাংস আগে থেকেই উচ্চমূল্যে অবস্থান করছে। 

আলু, আদা, রসুন, পেঁয়াজও নাগালের মধ্যে নেই। ডিমের দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি পিস হয়েছে ১৫ টাকা। সব মিলে নিত্যপণ্যের বাজার ক্রেতার কাছে এখনও দুর্বিষহ।

সরকারের সঠিক নজরদারির অভাবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন অজুহাতে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। সিন্ডিকেট চক্রই মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। কখন দাম বাড়বে, কখন কমবে সেটা তারাই নির্ধারণ করে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

জনগণের অনেক প্রত্যাশা ছিল নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসবে। জনগণ আশা করেছিল সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে, জনগণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কাজ করলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বরং সরকারের মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সমন্বয়হীনতার কারণে কোনো জবাবদিহিতা নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং দরকার। তা না হলে কোনোভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

ভোক্তার অস্বস্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। বাজার কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না। মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছে। যার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।   

এসি/ আই.কে.জে/

পণ্যের বাজার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন