মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

মায়ের মুখের পড়া মুখস্থ করে যেভাবে এসএসসিতে সফল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ঐতি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৬ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও মায়ের মুখের পড়া মুখস্থ করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন ঐতি রায় (১৫)। পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ৩৯ পেয়ে পাস করেছে সে। মায়ের শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পড়াশোনা এবং বিজয়া হালদার নামে এক শিক্ষার্থীর সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা দেয় ঐতি। 

জানা গেছে, মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া গ্রামের বালুর মোড় এলাকার অনুপম রায় ও শংকরি রায় দম্পতির একমাত্র মেয়ে সে। 

মেয়ের সফলতা নিয়ে অনুপম রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ঐতির মা শ্রুতি লেখনির মাধ্যমে বাড়িতে পড়াশোনা শেখায়। এভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার মেয়ে। পরীক্ষার হলে ঐতি মুখস্থ বলতো আর একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বিজয়া হালদার তা খাতায় লিখত। এভাবে সে সবগুলো পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেছে।

ঐতির মা গণমাধ্যমকে বলেন, ওর জীবনের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করবেই। এখন সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। আমরা খুব খুশি, স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। 

আরো পড়ুন: জমজ দুই বোন পেলেন জিপিএ-৫,সমান নম্বর 

তবে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় মেয়েকে অনেকদূর পড়াশোনা করাতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। 

এই বিষয়ে মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না গণমাধ্যমকে জানান, দৃষ্টিহীন ঐতি রায়ের এমন প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছি। মেধা না থাকলে এমন ফল করা কোনোভাবেই সম্ভব না। এখন ঐতির চোখের চিকিৎসা জরুরি। এছাড়া সে যাতে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

ঐতি গণমাধ্যমকে বলেন, জন্ম থেকে আমি দৃষ্টিহীন। কিন্ত পড়ালেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল আমার। পড়াশোনার কাজে আমার মা আমাকে সহযোগিতা না করলে আজ এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। 

পড়াশোনা শেষ করে সরকারি একটা চাকরি এবং আবৃত্তির শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের কথাও বলে সে। 

ঐতি রায়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ হালদার গণমাধ্যমকে বলেন, ঐতি ‘এ' গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়ে এসএসসি পাস করে স্কুলের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা তার এই রেজাল্টে দারুন খুশি। দোয়া করি ঐতি তার মেধা বিকাশিত করে অনেক বড় হোক।

এইচআ/ 

এসএসসি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ঐতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন