বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৬১ বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়লেন চোই *** নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক *** তলেতলে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়েছে শিবির: মির্জা আব্বাস *** নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি *** জাকসু নির্বাচন আজ, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফল *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ ইসলাম *** নেপালের কারাগার থেকে কমিউনিস্ট নেতা টপ বাহাদুরও পালিয়েছেন *** গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ইসলামবিরোধী আমেরিকান বাইকার গ্যাং *** নেপাল থেকে জামালদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট, অপেক্ষা অনুমতির *** ঘুষকাণ্ডে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

কখন বুঝবেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০৬ অপরাহ্ন, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

কর্মজীবীদের বেশিরভাগ সময় কাটে কর্মস্থলে। তাই কাজের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব বা একটা দিন ছুটি কাটালেও নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকা, সবই আপনার কর্মজীবনের জন্য ক্ষতিকর। চাকরি যদি সঠিক হয় তবে তা আপনাকে নিরাপদ, সুখী এবং কর্মক্ষম রাখবে। যদি বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তবে বুঝে নেবেন আপনি ভুল জায়গায় আছেন। কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বোধ

কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করা হলো কোনোকিছুতে ভুল হওয়ার একটি শক্তিশালী লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত কাজের চাপ, ব্যর্থতার ভয়, বা হিংসুটে সহকর্মীর কারণেও হতে পারে। কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা চাকরির নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে। এই অনুভূতিগুলি অব্যাহত থাকলে আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করা জরুরি হতে পারে।

২. অবিরাম ক্লান্তি

আপনি যদি কাজ করতে গিয়ে ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করেন তবে সেই কাজ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে। স্ট্রেস শুধু আপনার কর্মক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে না, এটি স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক সুখকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি ক্লান্তি লেগেই থাকে তবে চাকরি পরিবর্তন করার কথা ভাবতে পারেন।

আরো পড়ুন : ফোনের লক দেখে বোঝা যাবে আপনার ব্যক্তিত্ব!

৩. নেতিবাচক পরিবেশ

কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে গসিপিং, অফিস পলিটিক্স ইত্যাদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন জায়গায় কাজ করা উচিত নয় যা আপনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে, আপনার মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়।

৪. চাকরি ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য না থাকা

যদি অফিসের পেছনেই দিনের সবটা সময় ব্যয় করতে হয় তবে ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছুই থাকবে না। এই ভারসাম্যহীনতা বড় বিরক্তি, হতাশা এবং ক্লান্তিকর অনুভূতির কারণ হতে পারে। ক্রমাগত দীর্ঘ সময় কাজ করা বা কাজের সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এই অভ্যাস মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

৫. অবমূল্যায়িত হলে

যখন আপনার কঠোর পরিশ্রম নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হয় বা আপনাকে ন্যায্য অর্থ প্রদান করা না হয়, তখন বুঝে নেবেন সেখানে আপনাকের কাজের মূল্যায়ন নেই। যখন আপনার অবদান বিবেচনা করা হয় না, অতিরিক্ত কাজ করার পরও অসংখ্যবার পদোন্নতির জন্য উপেক্ষিত হন এবং কাজের তুলনায় বেতন সামান্য দেয় তখন তা ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। আপনি যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, আপনার প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এস/ আই.কে.জে/


চাকরি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন