ছবি: সংগৃহীত
পরুষদের তুলনায় নারীরা চুল নিয়ে নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে সন্তান জন্মদানের কিছুদিনের মধ্যে কারো কারো এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বীজে। যাদের প্রচুর চুল পড়ছে তারা কুমড়া বীজের তেল মাখতে পারেন।
কুমড়ার বীজের কার্যকারিতা
কুমড়ার বীজ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি এর তেল চুলের জন্য ভালো। এ বীজের তেল চুল পড়া বন্ধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ক্রমশ নতুন চুল গজালে চুল হয় ঘন ও সুন্দর।
এদিকে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভিটামিন ই, সি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ার বীজের তেল খেলে ত্বক এবং চুলও ভালো থাকে। আবার, এই তেল মাথায়ও মাখা যায়।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের তেল মাথায় মাখেল কী উপকার?
নতুন চুল গজাতে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে কুমড়া বীজের তেল। নিয়মিত মাখলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। কেননা কুমড়া বীজের তেল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। এতে নানা ধরনের ভিটামিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় ফলিকলগুলো মজবুত হয়। এছাড়া চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা ঝরে পড়ার সঙ্গে যুক্ত বিশেষ একটি হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে কুমড়ার বীজের তেল। অবশ্য কুমড়ার বীজের তেল শুধু মাখলেই হবে না, খেতেও হবে।
ব্যবহারের পদ্ধিত
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে কুমড়া বীজের তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছায়। নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। ম্যাসাজ করার পর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। চাইলে সারারাত মাথায় তেল রেখে দিতে পারেন। তবে সরাসরি মাথায় কুমড়া বীজের তেল না মেখে তা নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। তারপর রাসায়নিক-বর্জিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই তেল মাখলে উপকার পাবেন।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন