মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

বিজ্ঞানীদের খোঁজে আশ্চর্য প্রোটিন, থাকবে না আর বন্ধ্যাত্ব!

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩০ অপরাহ্ন, ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় এক ধরনের প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রোটিন শুক্রাণু-ডিম্বাণুর পুষ্টির পাশপাশি নিষেকের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা।

ঘরে ঘরে এখন বন্ধ্যাত্বের সমস্যা। মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে জীবনযাত্রায় অনিয়ম। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ। এ সবের প্রকোপেই এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।

সন্তানধারণের জন্য যেমন সুস্থ স্বাভাবিক ডিম্বাশয় প্রয়োজন যাতে তৈরি হতে পারে উৎকৃষ্ট ডিম্বাণু, ঠিক তেমনই প্রয়োজন সুস্থ-সবল-সচল শুক্রাণু। যদি শুক্রাণুর মান কোনও কারণে খারাপ হয় অথবা শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু নির্গমনের পথ সুগম না হয়, তখন বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রভূত উন্নতির দৌলতে অনেকেই বাবা-মা হওয়ার সাধ পূরণ করতে পারছেন।

আরো পড়ুন : সুযোগ পেলে চিকিৎসায় উদাহরণ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আইইউআই (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন), ডিআই (ডোনার ইনসেমিনেশন), ইকসি (ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন) এবং টেসা (টেস্টিকুলার স্পার্ম অ্যাসপিরেশন)-কে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় অসাধারণ এক বিপ্লব বলা যায়। এ ছাড়াও রয়েছে বহুল প্রচলিত আইভিএফ পদ্ধতি। তবে এই সব পদ্ধতিগুলিই বেশ খরচসাপেক্ষ, মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

সম্প্রতি বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা! তাঁরা এক প্রকার প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন যা, শুক্রাণু-ডিম্বাণুর পুষ্টির পাশাপাশি নিষেকের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা। প্রোটিনটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মাইয়া’। গ্রিসের মাতৃত্বের দেবীর নাম অনুসারে এই প্রোটিনের নামকরণ করা হয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে গ্যামেট ফিউশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

বিজ্ঞানীরা এক প্রকার প্রোটিন-৩ ধরনের রিসেপ্টার এফসি আবিষ্কার করেছেন। তা নিষেকের সময়ে ডিম্বানু যে শুক্রণুর সাহায্যে নিষিক্ত হতে চাইছে, সেই শুক্রণুটির প্রোটিনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হতে সাহায্য করে। এই আবিষ্কারটি বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এস/ আই.কে.জে

বন্ধ্যাত্ব ‘মাইয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন