ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ই জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে, গত ৯ই জানুয়ারি এই মামলার এক আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেওয়ায় তার আইনজীবী সময় চাইলে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এই মামলার বিচারে সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা হয়নি। মামলাটি আইনগত, মৌখিক, এমনকি শোনা সাক্ষ্য-প্রমাণহীন। অনুমাননির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১১ই নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতেও নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গেল ৫ই আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন।
ওআ/ আই.কে.জে/