বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মাছের ডিম কারা খাবেন, কারা খাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:১৫ অপরাহ্ন, ৬ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মাছের ডিম অনেকে খেতে পছন্দ করেন। এটি খেতে সুস্বাদু। এই ডিম নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন থাকে মনে। অনেকেই মনে করেন মাছের ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু আদৌ কি তাই? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

মাছের ডিমের ​পুষ্টিগুণ

মাছের তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হার্ট-ব্রেন সহ দেহের একাধিক অঙ্গের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, মাছের ডিম হল ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কোলিনের মতো উপকারী উপাদানের আঁতুরঘর। তাই মাঝে মধ্যে মাছের ডিম খেলে যে আদতে শরীরের উপকারই হবে, তা তো বলাই বাহুল্য।

মাছের ডিম কি হার্টের ক্ষতি করে?​

এতে মজুত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে একথাও জেনে রাখা দরকার যে, এক টেবিল চামচ মাছের ডিম থেকে প্রায় ২৪০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। এমনকি এতে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফ্যাটও উপস্থিত রয়েছে। আর এইসব উপাদানই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ রোজ মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।

আরো পড়ুন : যে খাবার দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়

​হার্টের অসুখে মাছের ডিম খেতে নেই

যারা ইতিমধ্যেই হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিয়র, অ্যারিদমিয়া বা অন্য কোনও জটিল হৃদরোগের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তারা মাছের ডিম খাওয়ার লোভ সামলে চলুন। তার পরিবর্তে আপনারা মুরগি বা হাঁসের ডিমের সাদা অংশ অনায়াসে খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই প্রাণঘাতী বিপদের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে।

পিউরিন রিচ ফুড

মাছের ডিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পিউরিন যা কিনা শরীরে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। আর দেহে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল বাড়লে যে গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং কিডনি স্টোনের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই হাইপারইউরেসেমিয়া বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব মাছের ডিম খাওয়া বন্ধ করুন।

মাছের ডিম বিষ নয়​

যেকোনও সুস্থ-সবল মানুষ অল্প তেলে আলতো করে ভাজা মাছের ডিম মাসে ১ থেকে ২ বার খেতেই পারেন। এই নিয়মটা মেনে চললে খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে ভুলেও এই হিসাবের বাইরে মাছের ডিম খাবেন না। তাতে আবার একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ারই আশঙ্কা বাড়বে।

এস/ আই.কে.জে/

মাছের ডিম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন