ছবি: সংগৃহীত
ফকির লালনের সাধনার ধারাকে পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ফকির লালনকে পশ্চিমবাংলা থেকে পরিকল্পিতভাবে একটা ব্যভিচারী এবং একটা গাঁজাখোর আকারে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিল্পী ফরিদা পারভীনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউরিয়া ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফরহাদ মজহার বলেন, পশ্চিমবাংলার উপন্যাসে, সিনেমাতে আপনি দেখবেন, একটা সিনেমা আছে ‘মনের মানুষ’ নামে। এর মাধ্যমে বাংলার সাধনার ধারাকে তারা অত্যন্ত বিকৃত করে হাজির করে। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। একটা ইসলাম প্রভাবিত পরিবেশে কোনো মহৎ মানুষের জন্ম হয় না। তারা এটাই প্রমাণ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের যে একটা চেষ্টা, যাতে এই অঞ্চলটাকে (আখড়াবাড়ি) একটা গাঁজার ক্ষেত্রে পরিণত করেছেন তারা, ওখানে (মেলার মাঠ) যখন ইজারা দেওয়া হয়, তখনই বলা হয় ওখান থেকে গাঁজা বিক্রি করা হবে। এবং গাঁজা বিক্রির....। এটা প্রশাসন করে। এর সঙ্গে ফকির লালনের কোনোই সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার থাকতে হবে। আশা করি, আগামীতে প্রশাসন আমাদের কথা শুনবে এবং সে ক্ষেত্রে এই দিকটারে তারা বন্ধ করবেন।'
ফরহাদ মজহার বলেছেন, সাধুতত্বের ধারার মধ্যে লালন একটা সংসারী ধারা। এটা সন্ন্যাস ধারা নয়। এমন কোনো ধারা না, যে সংসার থেকে বেরিয়ে, সমাজ থেকে বেরিয়ে গিয়ে আপনাকে সাধনা করতে হবে। যেহেতু এটা সামাজিক, সেহেতু এটা সংসারধর্মী। এজন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের নেশার দ্রব্য পরিহার করাটা অত্যন্ত জরুরি।
লালন ফকির জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন