ছবি: সংগৃহীত
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনটি স্মরণীয় হয়ে রইল ভিন্ন এক কারণে। সিনেমা, রেড কার্পেটে তারকাদের ঝলমলে উপস্থিতি, তাদের পোশাক, লুক—সব ছাপিয়ে বারবার উঠে এল বিশ্ব রাজনীতির প্রসঙ্গ। কানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘আমেরিকার সংকীর্ণমনা প্রেসিডেন্ট’ বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদের ধ্বনিও উচ্চারিত হলো কান উৎসবে।
১৩ই মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনে সম্মাননা পেলেন অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো। তার হাতে সম্মানজনক পাম দি’অর তুলে দেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। সম্মাননা পাওয়ার পর কানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য দিলেন রবার্ট ডি নিরো, তাতে নড়েচড়ে বসেন সবাই। প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। এর বিরুদ্ধে সব শিল্পীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন।
এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা উঠে আসে রবার্ট ডি নিরোর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আমার দেশে, আমরা এখন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাণপণে লড়াই করছি—যেটা একসময় আমরা হালকাভাবে নিয়েছিলাম। এ লড়াই আমাদের সবার। কারণ, শিল্প তৎপরতাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক। প্রত্যেক শিল্পই অন্তর্ভুক্তিমূলক, এটা মানুষকে একতাবদ্ধ করে, সত্য অনুসন্ধান করে, বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করে। এ কারণেই শিল্প তাদের কাছে এখন হুমকি। এ কারণেই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদীরা আমাদের ভয় পায়।’
এ মাসের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ‘বিদেশে নির্মিত’ সব সিনেমার ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক প্রস্তাবিত এ শুল্কনীতির সমালোচনা করে ডি নিরো বলেন, ‘সৃজনশীলতার কোনো দাম হতে পারে না, কিন্তু ট্রাম্প তাতে কর বসাতে চান। শিল্পের ওপর এসব আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা শুধু আমেরিকার সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সংকট। সহিংসতা নয়, বরং প্রবল আবেগ আর অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন