মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

শিশুকে বাঁচিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রবাসী জহির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ২৬শে অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের একটি বহুতল ভবনের জানালার বাইরে আটকে থাকা ৩ বছর বয়সি এক শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন জহির নামে এক বাংলাদেশি যুবক। এই বীরত্বের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ৩৪ বছর বয়সি প্রবাসী জহির সিঙ্গাপুরে লরি চালান। গত ১৭ বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি।

রোববার (২০শে অক্টোবর) ছুটির দিন দুপুরের খাবার কিনতে সাইকেলে করে দোকানে রওনা হন জহির। কাছেই হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) ব্লকে প্রবেশ করতেই সেখানে মানুষের ভিড় লক্ষ করেন তিনি।

জহির দেখতে পান, একটি ভবনের তিনতলায় জানালার বাইরে দেয়ালের পাশে একটা শিশু দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে নিচে পড়ে যেতে পারে শিশুটি। আর পড়লেই নির্ঘাত মৃত্যু। পরিস্থিতি দেখে জহির দৌড়ে চলে যান ওই ভবনের তিনতলার সেই ফ্ল্যাটের মেইন দরজায়। ডোরবেল বাজান, দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। ফলে নিচে নেমে আসেন জহির।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের দিকে ১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছে ইরান

এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন তার সহকর্মী সা থু ইয়া অং। মিয়ানমারের নাগরিক সা থুকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তিনি। এমন বীরোচিত কাজের জন্য প্রশংসার পাশাপাশি তাকে পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫শে অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের ইয়িশুনে এসসিডিএফ বিভাগের সদর দপ্তরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এসসিডিএফ) কমিউনিটি লাইফসেভার পুরস্কার প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তার আরও এক সহযোগী মিয়ানমারের এক নাগরিককেও পুরস্কার দেওয়া হয়।

জহির বলেন, কোনো বিনিময়ের কথা ভাবিনি। এটা আমার নিজের সন্তানও হতে পারত। আমি আমার ৭ বছর বয়সি ছেলের কথা ভেবে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়েছি। তবে এ পুরস্কার পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করছেন জহির। যেসব পরিবারে ছোট বাচ্চা আছে সেসব পরিবারকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এসি/ আই.কে.জে

প্রবাসী জহির

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন