ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো উপকূলের দিকে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘হিলারি’।
ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার(২০ আগস্ট) দেশ দুটির উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার থাকবে বলে জানিয়েছে সান ডিয়াগোর আবহাওয়া দফতর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছানোর আগেই কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু প্রবল বর্ষণে বন্যা দেখা দিতে পারে। তলিয়ে যেতে পারে অনেক জায়গা। দুর্ভোগে পড়বেন বহু মানুষ।
হিলারিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা গত ৮০ বছরে প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। এনএইচসি শনিবার সবশেষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্যালিফোর্নিয়ার ইউজেনিয়া থেকে প্রায় ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপিকে এনএইচসি'র জ্যেষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ জন ক্যাঙ্গিয়ালোসি বলেছেন, ‘হিলার দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে সান ডিয়াগোর আবহাওয়া দফতর বড় ধরনের বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। সেখানকার ২ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হিলারির কারণে মেক্সিকো সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় ১৮ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন