প্রিয় মা,
আশা করি ভালো আছো এবং দোয়া করি দীর্ঘজীবি হও আমার জন্য। তোমায় নিয়ে লিখা চিঠি এক পৃষ্ঠায় হয় না মা। একটু আড়াল হলে যেন হাজার কথা জমে যায়। যদি শিক্ষা বা চাহিদার তাগিদে ঘর ছাড়তে না হতো, তোমার ছায়াতল হতে কখনোই নড়তাম না। আর তুমিও হয়তো ছাড়তে না।
ছুটি হওয়ার সাথে সাথে একটুও বিলম্ব না করে ছুট দেই বাড়ির পানে। শুধু ঐ প্রিয় মুখখানা দেখার জন্য মা। একটা দিন ব্যস্ততায় কথা না হলে পরের দিন প্রথম প্রশ্ন থাকে কাল কী হয়েছিল তোমার? আমি অসুস্থ হলে তুমিই যেন বড় ডাক্তার হয়ে যাও। আমার সাতদিনের ছুটি যেন তোমার কাছে নিতান্তই কম হয়ে যায়। এই অমূল্য যত্ন আর বিনা আর্জিতে দোয়ার দুটি হাত তুমি ছাড়া আর কোথায় পাবো?
জানো মা! আমি শুধু ভাবি যারা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তারা কেমন হৃদয়ের মানুষ? যদি সারাজীবন বেঁধে রাখার মতো কোনো উপায় থাকতো আমি সেটাই করতাম তোমার জন্য মা। দুনিয়াটা শুধু স্বার্থের, তাই হয়তো আল্লাহ সবার জন্য একটা নিঃস্বার্থ স্থান দিয়ে দিয়েছেন, ‘মায়ের কোল’। তোমার প্রিয় মন জুড়ানো মুখটা খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। খুব শিঘ্রই চলে আসবো তোমার কাছে মা।
জানি বলতে হবে না, মায়ের দোয়ায় সন্তানের নাম সবার আগে থাকে। তবু বলছি দোয়া করো আর নিজের যত্ন নিও।
——ইতি
তোমার ছেলে
শিবলী
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন