ছবি: সংগৃহীত
তুই একবার এসে দেখে যা নিরঞ্জন
——সিফাত রাখী
তুই একবার এসে দেখে যা নিরঞ্জন.....
আমি আজ কতটা সুখে আছি
তোর দেয়া অনলে কতটা মনভরে আমি জ্বলছি
চিতার অনলে বসে আমি প্রাণ খুলে আজ হাসছি।
তুই দেখে যা....
একবার এসে দেখে যা নিরঞ্জন।
তুই তো এমনটাই চেয়েছিলি
আমি আজ তোর সাজানো কাঁচের পুতুল।
মরা লাশ আর আমার মাঝে তেমন বড় কোনও পার্থক্য নেই।
আমার সামনে আজ উঁচু উঁচু দেয়াল
এ দেয়াল পেরিয়ে যাবার
সাহস আর সাধ্য কোনটিই আমার নেই।
তুই দেখে যা.....
তুই একবার এসে দেখে যা নিরঞ্জন।
আমার ভালো থাকার সাদা পায়রাগুলো
বন্দি খাঁচায় কত ছটফট করে
খাঁচা ভেঙে পালানোর কোনও পথ নেই।
একবার ওরা দেখতে চায়
খোলা আকাশ, খোলা মাঠ।
কতটা অসহায় আমার ডানাভাঙা পায়রাগুলো
দেখে যা নিরঞ্জন.....
তুই একবার এসে দেখে যা।
তুই তো আমায় ভাসাতে চেয়েছিলি দুঃখের সাগরে
হ্যাঁ চোখের জল যার সাগর সম
সে তো ভাসবেই অপার দুঃখের সমুদ্রে
আমি ভাসছি সাগর সম জলে
মিথ্যে ভালো থাকার ছলে।
তুই জেনে আরো খুশি হবি...
এই আমি আর নেই সেই আমি।
খোলস বদলাতে বদলাতে
ক্লান্ত বিধ্বস্ত ভীষণ অবহেলিত
কীটপতঙ্গের মত জীবন আমার।
এটাই তো চেয়েছিলি তুই।
এই কৃত্রিম হাসিমাখা মুখ
তুই দেখে যা....
একবার এসে তুই দেখে যা নিরঞ্জন।
নীল সমুদ্রের বালিয়াড়ি তে
আর গড়তে পারি না খেলনা বাড়ি।
কবিতার শব্দগুলো ছটফট করে
ডায়েরির পাতায় আসার লাগি
আমার সব কবিতারা রক্তাক্ত আজ।
সমস্ত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণায় নীল হয়ে গেছে
তোর নীলাঞ্জনা।
তুই দেখে যা ....
তুই একবার এসে দেখে যা নিরঞ্জন।
আরো পড়ুন : কবিতা: রক্তস্নাত আমার আঙিনা -খোকন কুমার রায়