পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহর এবং সেনানিবাসের বাসিন্দারা বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস লিকেজ এর ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও নিরুদ্বেগ।
রেসকিউ ১১২২-এর হিসাবে, এক মাসে মোট ১৬টি গ্যাস লিকেজের ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় চার শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যাস লিকেজের এই অনুপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এক সপ্তাহ আগে, শামসাবাদে একটি গ্যাস লিকেজের ঘটনায় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চার শিশু মারা যায় এবং তাদের মা গুরুতরভাবে আহত হন।সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের (এসএনজিপিএল) সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ মুখতার শাহ বলেন, তিনি সব এলাকায় গ্যাস লিকেজের ঘটনা বন্ধের জন্য বিশেষ একটি দল গঠন করেছেন। তাছাড়া নাগরিকদেরকে রাতের বেলা গ্যাস বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
তাছাড়া রাবার পাইপ ব্যবহার না করার পরামর্শও তিনি দেন, কারণ এই পাইপগুলো অনেক বিপদজনক। যেকোন ধরনের লিকেজের ঘটনায় এসএনজিপিএল কে অবগত করার জন্য নাগরিকদেরকে আহ্বান করেন তিনি।
তবে স্থানীয়দের দাবি এসএনজিপিএল কে লিকেজের ব্যাপারে অবগত করতে ফোন করা হলেও তারা সে ফোন ধরেন না।
শাজিয়া তাবাসসুম নামে একজন আইনজীবী বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত গ্যাস লিকেজের ঘটনাগুলো তদন্ত করা। ১৬ টি গ্যাস লিকেজের ঘটনায় চার শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যুর তদন্ত করা উচিত।
জানা যায়, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কে এই দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
এফআইএ এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানা যায়। তাছাড়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং অবৈধ পাইপলাইনেরও তদন্ত করবে এফআইএ।
তাছাড়া রাওয়ালপিন্ডিতে তীব্র গ্যাস সংকটও দেখা দিয়েছে। এত গ্যাস কোথায় যাচ্ছে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নীরব।
আই.কে.জে/