ছবি: সংগৃহীত
চীনে অবস্থিত আমেরিকান কোম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যবর্তী ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে হতাশ হয়ে পড়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল, চীনে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৮৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নিয়ে হতাশ।
অ্যামচ্যাম চীনা নীতি কমিটির চেয়ারম্যান, লেস্টার রস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আদৌ উন্নত হবে কি না সে বিষয়টিও অনিশ্চিত। তবে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক দুই দেশেরই ব্যবসা বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই অবনতিই এখন দুই দেশের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থনীতি ও বাণিজ্য জাতীয় নিরাপত্তা ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বিষয়গুলোর সাথে গভীরভাবে জড়িত হওয়ার কারণে সম্পর্কের এ অবনতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদেরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
আরো পড়ুন: অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সম্মেলন
এ পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে উদ্বেগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ প্রদানের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।
চীনের প্রতি বাণিজ্য বিধিনিষেধ, বিনিয়োগ রোধ ইত্যাদি ঘটনায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন। ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে।
এছাড়াও গত সপ্তাহে, মার্কিন কোষাগার সচিব জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, চীনের হুমকি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশ ও জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ব্যয় গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে চীনে অবস্থিত মার্কিন সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বিরাজমান এবং এই ঘটনাটিকে প্রাধান্য প্রদান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো চীনের বাইরে তাদের পণ্য উৎপাদনের উৎস খুঁজলেও বিদেশি কোম্পানিগুলোর ৭৩ শতাংশ এখনই চীনের বাইরে তাদের উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে না।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন