ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তাদের মধ্যে সংশয় থাকলে ৪০ জনের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসতেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এর আগে এত উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন ব্যবসায়ীদের কোনো প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসেনি বলেও জানান সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের কনফারেন্স রুমে ইউএস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এর একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল করতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ এর ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপির সাথে বৈঠক করেন। তালিকায় আছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইক্যুইটি কোম্পানি ব্ল্যাক স্টোন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি, শেভরন, এক্সনমবিল, উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িং। বৈঠকে জ্বালানি, অ্যারো-স্পেস, ডিজিটাল ইকনোমি স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা।
বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে যেনো আর বিদেশ যেতে না হয়, সেভাবেই স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন ব্যবসায়ীরা। মার্কিন কোম্পানিটি মনে করে বাংলাদেশে ওই ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা গেলে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের আর বিদেশ যেতে হবে না।’
বাংলাদেশের হেলথ কেয়ার সেক্টরে মার্কিন ব্যবসায়ীরা ভালো সম্ভাবনা দেখছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আমেরিকান জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে অনেক বিনিয়োগ করেছে। তারা আরও আগ্রহী। মার্কিন ব্যবসায়ীরা বলছে, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চাই সেখানে তাদের অনেক সুযোগ আছে। তারা মনে করে বাংলাদেশে সম্ভাবনাটা খুবই ভালো। তাই মার্কিন কোম্পানিগুলো এখানে অনেক বিনিয়োগ করতে চায়।
ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের এতো উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেনি উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন ইক্যুইটি কোম্পানি ব্ল্যাক স্টোন। স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানিসহ নানা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতেও চায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
আর.এইচ