ছবি: সংগৃহীত
‘অল্প অল্প মেঘ থেকে হালকা হালকা বৃষ্টি হয়, ছোট্ট ছোট্ট গল্প থেকে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়....’ কবিতাটি কে লিখেছেন, কার জন্য লিখেছেন তা কেউ এখনও জানে না। তা জানার উপায়ও নেই।
ওডিশার বালেশ্বরের বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্থলে চাপ চাপ রক্ত, রক্তমাখা দেহের স্তূপ, এ দিক-ও দিক ছড়িয়ে ছেঁড়া জামাকাপড়, খাবার, ব্যাগপত্র, বাচ্চাদের খেলনার মাঝে পাওয়া গিয়েছে একটি কবিতার খাতা। তাতেই লেখা এই কবিতা। কাচা হাতে, সুন্দর করে নকশার কারসাজিও রয়েছে কবিতার লাইনের মাঝেমাঝে।
পাতা ওলটাতেই চোখে পড়ে আরও একটি কবিতা। যেখানে লেখা-
ভালোবাসা এই মন তোকে চায়, সারাক্ষণ,
আছিস তুই মনের মাঝে,
পাশে থাকিস সকাল সাঁঝে।
কী করে তোকে ভুলবে এই মন,
তুই যে আমার জীবন...
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতাটির মালিক কে এবং দুর্ঘটনায় হতাহতদের তিনি আছেন কি-না তা এখনো জানা যায়নি। তবে কবিতাগুলো যে প্রিয় কারও জন্য লেখা তা বোঝা যায় স্পষ্ট। কিন্তু যার উদ্দেশে কবিতাগুলো লেখা হয়েছে তার কাছে কি খাতাটি কখনো পৌঁছাবে কিনা সে প্রশ্ন রয়েই যায়।
ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫০ জনেরও বেশি। তথ্য বলছে, শুক্রবারের এ দুর্ঘটনা দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, ‘কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।’
আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে বাংলাদেশ
এম/